November 20, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Tuesday, November 19th, 2024, 4:35 pm

ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে বিপুল পরিমাণ সোনা উদ্ধার

অনলাইন ডেস্ক:

ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে বিপুল পরিমাণ সোনা উদ্ধার করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সদস্যরা। তেতুলবেড়িয়া বর্ডার ফাঁড়ির পঞ্চম ব্যাটালিয়নের জওয়ানরা পশ্চিমবঙ্গের উত্তর২৪ পরগনা জেলায় অবস্থিত আঁচলপাড়া গ্রামে তল্লাশি অভিযান চালিয়েছেন।

সে সময় প্রায় ৬ কেজি ওজনের ৫০টি বিস্কুট উদ্ধার করা হয়, যার আনুমানিক মূল্য ৪ কোটি ৩৬ লাখ রুপি বা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৬ কোটি ১৪ লাখ ১২ হাজার ৪১৮ টাকা। এই বিপুল পরিমাণ সোনা পাচারের অভিযোগে একজন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত সোমবার (১৮ নভেম্বর) বিএসএফ বেশ কিছু গোয়েন্দা সূত্রের মাধ্যমে স্বর্ণ পাচারের বিষয়ে খবর পায় যে, তেতুলবেড়িয়া বর্ডার ফাঁড়ির প্রায় ২৭০০ মিটার পেছনে আঁচলপাড়া এবং পোঞ্চপোতা গ্রামে সোনা পাচার করা হবে।

ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর গোয়েন্দাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে, বিএসএফের সদস্যরা সন্দেহজনক স্থান আঁচলপাড়া গ্রামে যায়। নির্দিষ্ট স্থানে বিএসএফ যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের উপস্থিতি টের পায় পাচারকারীরা।

বিএসএফের উপস্থিতি টের পেয়ে অভিযুক্তরা আঁচলপাড়া গ্রামের একটি বাড়ির পেছন গেট দিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। অভিযুক্তদের ভয় দেখানোর জন্য বিএসএফের জওয়ানরা ফাঁকা গুলি ছোড়ে। ফলে পাচারকারীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে এবং এক ব্যক্তিকে ঘটনাস্থল থেকে গ্রেফতার করা হয়।

ঘটনাস্থলে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তল্লাশি করা হলে তার কাছ থেকে একটি সিনথেটিক ক্যারিব্যাগ উদ্ধার করা হয়। ওই ব্যাগটি তল্লাশিকালে বিএসএফ কালো কাপড়ে মোড়ানো একটি বেল্ট উদ্ধার করে। সেটা খুলতেই ৫০টি সোনার বিস্কুট বেরিয়ে আসে।

জব্দ করা সোনাসহ অভিযুক্ত ব্যক্তিকে পরবর্তী তদন্তের জন্য তেতুলবেড়িয়া সীমান্ত ফাঁড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত ব্যক্তি নিজেকে একজন সিভিল ইঞ্জিনিয়ার বলে স্বীকার করেন। তিনি জানিয়েছেন, দ্রুত অর্থ উপার্জনের জন্য চোরাচালানের দিকে ঝুঁকে পড়েছেন।

অভিযুক্ত ব্যক্তি আরও জানিয়েছেন, সোনা পাওয়ার পর ১ থেকে ২ ঘণ্টা তার কাছে রাখার পর এগুলো একজন অজানা ব্যক্তির কাছে হস্তান্তর করার কথা ছিল। এই কাজ শেষ করতে পারলে ৫০০ থেকে ১ হাজার রুপি পেতেন । কিন্তু কাজ শেষ হওয়ার আগেই বিএসএফের হাতে ধরা পড়েন।

গ্রেফতার হওয়া ওই ব্যক্তি এবং জব্দ করা সোনা পরবর্তী ব্যবস্থার জন্য কলকাতার রাজস্ব গোয়েন্দা অধিদপ্তরের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানা গেছে।