অনলাইন ডেস্ক :
ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষের অপসারণ দাবি করেছেন অভিভাবকদের একাংশ। সোমবার (১৯ জুলাই) অভিভাবক ফোরাম আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। লিখিত বক্তব্যে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. আবদুল মজিদ সুজন বলেন, ঐতিহ্যবাহী ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে অবৈধ দখলদার ফখরুদ্দিন বিরিয়ানি হাউজ অ্যান্ড ডেকোরেটর অবৈধভাবে গরু-ছাগলের হাট বসায়। সেটি অভিভাবকদের নেতৃত্বে গত শুক্রবার উচ্ছেদ করে দেয়া হয়। প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ কামরুন নাহারের মদতে অবৈধ গরু-ছাগলের হাট বসানো হয়েছিল। এজন্য অধ্যক্ষকে পাঁচ লাখ টাকা দেয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ করা হয়েছে। অধ্যক্ষের অপসারণ দাবি করে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, কামরুন নাহার যোগদানের পর থেকে কলেজের বাসভবনে থাকলেও তিনি কখনো নিজ অফিসে বসেন না। অভিভাবকরা বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চাইলেও কারও সঙ্গে দেখা করেন না। ভিকারুননেসার যেসব শিক্ষার্থীর অভিভাবক মারা গেছেন তাদের বিনাবেতনে পড়ানোর প্রস্তাব দেয়া হলেও সে বিষয়ে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেননি অধ্যক্ষ। অভিভাবকরা বলেন, ভিকারুননিসার বেইলিরোড ক্যাম্পাসের মধ্যে ফখরুদ্দিন বিরিয়ানির ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠায় স্কুল অ্যান্ড কলেজ খোলা থাকলে ক্যাম্পাসে ফখরুদ্দিনের ব্যবসা চলে। ১১ নম্বর গেট দিয়ে মেয়েদের প্রবেশ করতে হয়। ফখরুদ্দিন বিরিয়ানির কর্মচারীরা খালি গায়ে ঘোরাফেরা করে। কলেজের মধ্যে এই অবস্থা শিক্ষার্থীদের জন্য বিব্রতকর। আমরা অভিভাবকরা এর অবসান চাই। শিক্ষার্থীদের নিয়মিত টিউশন ফি আদায় করা হলেও স্কুলে বিভিন্ন ধরনের ময়লা পড়ে এডিস মশার জন্ম নিলেও তা নিয়মিত পরিষ্কার করা হয় না। স্কুলের প্রতি তার কোনো আন্তরিকা নেই বলেই চলে। এক প্রশ্নের উত্তরে সংগঠনের সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান পিন্টু বলেন, আমরা অভিভাবক হিসেবে এই ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পবিত্রতা যারা নষ্ট করেছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানাই। ফখরুদ্দিন বিরায়ানি অ্যান্ড ডেকোরেটরকে এই প্রতিষ্ঠান থেকে আগামী এক মাসের মধ্যে সরিয়ে নেয়ার দাবি জানাই। প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ ও শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তা কামরুন নাহার এর অপসারণ চাই।
আরও পড়ুন
বছরজুড়ে শিক্ষায় অস্থিরতা, শিক্ষার্থীদের হাত ধরেই ‘বিজয়’
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরছে ভর্তি পরীক্ষা, বদলে যাচ্ছে পদ্ধতিও
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন ১ জানুয়ারি, পরীক্ষা ফেব্রুয়ারিতে