বর্তমান তরুণ প্রজন্মের কাছে নতুন স্মার্টফোন কেনা যেন এক ধরনের ট্রেন্ড হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন মোবাইল নির্মাতা কোম্পানি বাজারে একের পর এক সাশ্রয়ী দামের ফোন নিয়ে আসছে। বাহ্যিকভাবে আকর্ষণীয় ফিচার যেমন উন্নতমানের ক্যামেরা, দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারি ও হাই-স্পিড প্রসেসর থাকায় অনেকেই এগুলোর প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছেন। তবে বাস্তবে, এই ফিচারগুলোর মান যদি প্রত্যাশা অনুযায়ী না হয়, তাহলে ফোনটির জনপ্রিয়তা দ্রুত হ্রাস পায়।
আজ আমরা এমনই ৫টি স্মার্টফোন নিয়ে আলোচনা করব যেগুলো কেনা থেকে বিরত থাকাই ভালো।
১. ভিভো টি৩এক্স – VIVO T3X
এই ফোনটির ফিচার প্রথম দেখায় আকর্ষণীয় মনে হলেও ব্যবহারিক দিক থেকে এটি অনেক ক্ষেত্রেই দুর্বল। এতে ব্যবহৃত স্ন্যাপড্রাগন ৬ জেনারেশন ১ প্রসেসরটি গড়পড়তা পারফরম্যান্স দেয়। ১২০ হার্টজ রিফ্রেশ রেট থাকা সত্ত্বেও ডিসপ্লের মান আশানুরূপ নয়।
ক্যামেরার দিক থেকেও ফোনটি হতাশাজনক— বিশেষ করে কম আলোতে ছবির গুণমান খারাপ, ভিডিও রেকর্ডিংয়ের পিক্সেল রেশিও দুর্বল। অতিরিক্ত প্রি-ইনস্টলড অ্যাপসের কারণে সফটওয়্যার বারবার হ্যাং করে।
২. ভিভো ভি৩০ই – VIVO V30e
এই ফোনটির দাম যেমন, পারফরম্যান্স তেমন নয়। অ্যাপ অ্যানিমেশনগুলো ধীরগতির, ক্যামেরার মান সাধারণের চেয়েও খারাপ এবং অপ্রয়োজনীয় প্রি-ইনস্টলড অ্যাপস ফোনটিকে স্লো করে তোলে। ডিজাইন আকর্ষণীয় হলেও ডিসপ্লে ও ক্যামেরা পারফরম্যান্স হতাশাজনক, যার ফলে ফোনটি প্রত্যাশা পূরণ করতে ব্যর্থ।
৩. অনর এক্স৯বি – Honor X9b
স্ন্যাপড্রাগন ৬ জেনারেশন ১ প্রসেসর এবং ইউএফএস ৩.১ স্টোরেজ সহ ম্যাজিকওএস থাকলেও ফোনটির ইউজার ইন্টারফেস, গেমিং পারফরম্যান্স এবং ক্যামেরা মানে বড় ধরনের ঘাটতি রয়েছে। বিশেষ করে আলো কম বা বেশি হলে ডিসপ্লে এবং ক্যামেরার পারফরম্যান্স আরও খারাপ হয়ে যায়।
৪. অপো এফ২৫প্রো – OPPO F25 Pro
৬.৭৫ ইঞ্চির AMOLED ডিসপ্লে এবং ক্যামেরা ফিচার থাকলেও ফোনটি ব্যবহারকারীদের সন্তুষ্ট করতে পারে না। ছবিতে অতিরিক্ত স্যাচুরেশন ছবির স্বাভাবিক রঙকে বিকৃত করে। Dimensity 7050 প্রসেসর এবং দুর্বল অ্যাপ অ্যানিমেশন ফোনটির আকর্ষণ অনেকটাই কমিয়ে দেয়।
৫. স্যামসাং গ্যালাক্সি এস২১ এফই – Samsung Galaxy S21 FE (Snapdragon 888 ভ্যারিয়েন্ট)
প্রথমদিকে এই ফোনটি সফটওয়্যার অভিজ্ঞতা, ক্যামেরা ও ডিজাইনের জন্য জনপ্রিয়তা পেলেও বর্তমানে এটি অনেকটাই পিছিয়ে গেছে। কারণ, একই দামে বাজারে আরও আধুনিক ও সাশ্রয়ী বিকল্প রয়েছে যেগুলো অধিক সুবিধা দিচ্ছে। ফলে এই ফোনটির বাজার মূল্যও কমে গেছে।
সারসংক্ষেপ:
উপরের আলোচিত ফোনগুলো দেখতে আকর্ষণীয় হলেও বাস্তব ব্যবহারে ডিসপ্লে, ক্যামেরা, সফটওয়্যার এবং পারফরম্যান্সের দিক থেকে অনেকটাই পিছিয়ে। তাই স্মার্টফোন কেনার আগে ভালোভাবে যাচাই করে, বিকল্প মডেল বিবেচনা করাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।
আরও পড়ুন
ভিভো V30 Pro কেনার আগে জেনে নিন এই ৫টি বড় সমস্যা
জিপি,রবি,বাংলালিংক ছাড়া ইন্টারনেটের দাম কমালো সবাই
পড়াশোনায় মনোযোগ বাড়াবেন যেভাবে