ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদীতে বুধবারের কম্পনে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। জেলার পলাশ উপজেলায় মাটির ঘরের দেয়াল চাপা পড়ে কাজম আলী (৭৫) নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পলাশ থানার ওসি মনির হোসেন।
ভূমিকম্পের সময় আতঙ্কে দৌড়ে বের হতে গিয়ে মাধবদী, পলাশসহ বিভিন্ন এলাকায় অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। দোকানের শেলফ থেকে মালামাল পড়ে বেশ কয়েকজনের মাথা ও শরীরে আঘাত লাগে। ঘোড়াশালের বহু ভবনে ফাটল দেখা দিয়েছে, পাশাপাশি দোকানপাটে ভাঙচুর হয়ে বড় ধরনের ক্ষতি হয়েছে।
সবচেয়ে বড় বিপর্যয় ঘটে ঘোড়াশাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রে। সাবস্টেশনের একটি ট্রান্সফরমারে আগুন ধরে ব্যাপক ক্ষতি হয়। অন্যান্য ট্রান্সফরমারের বেশির ভাগ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। খবর পেয়ে পলাশ ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে ঘোড়াশাল ও পলাশের বড় অংশে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। বিকল্প উপায়ে বিদ্যুৎ চালু করার কাজ চলছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

ঘোড়াশাল বাজারের মুদি ব্যবসায়ী আসলাম মিয়া জানান, তার দোকানের কাচের মালামাল ভেঙে গেছে। তিনি বলেন, “প্রথমে মনে হয়েছিল কেউ হামলা করেছে, পরে বুঝলাম ভূমিকম্প।”
ঘোড়াশাল ঈদগাহ রোডের মারকাসুল সুন্নাহ তাহফিজুল কুরআন সুন্নাহ মাদ্রাসার ভবনেও ৪–৫ জায়গায় ফাটল দেখা দিয়েছে। মাদ্রাসার পরিচালক মুফতি সালা উদ্দিন আনসারী জানান, শিক্ষার্থীরা ভয় পেয়ে আতঙ্কে ছুটোছুটি করে। ভবনের মালিক আমানউল্লাহ বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত অংশ পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে এবং নিরাপত্তার জন্য সব দোকানপাট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
নরসিংদী সদর উপজেলার গাবতলীতেও ভবন থেকে ইট পড়ে দু’জন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দা সাইফুর রহমান।
এদিকে নরসিংদী আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ আনোয়ার হোসেন জানান, সেখানে রিখটার স্কেল নেই, তাই তারা ভূমিকম্পের মাত্রা পরিমাপ করতে পারেননি।
এনএনবাংলা/

আরও পড়ুন
ঢাকার ভূমিকম্পে কেঁপেছে কলকাতাও
ভূমিকম্প আতঙ্কে ভবন থেকে দৌড়ে-লাফিয়ে নামতে গিয়ে আহতদের ভিড় পঙ্গু হাসপাতালে
ভূমিকম্পে নারায়ণগঞ্জে দেয়াল ধসে ১০ মাসের শিশুর মৃত্যু, আহত ২