এস এ শফি, সিলেট: কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সিলেট অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক ড.মোঃ মোশাররফ হোসেন বলেছেন, তেলজাতীয় ফসলের সম্প্রসারণ এবং উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে দেশে ভোজ্যতেলের চাহিদাপূরণ ও আমদানি ব্যয় হ্রাস করতে হবে। বর্তমান সরকারের নির্দেশনা অনুসারে প্রতি ইঞ্চি মাটির সর্বোচ্চ ব্যবহার করে ও প্রণোদনার ফলে দেশে তেলজাতীয় ফসলের উৎপাদন অনেক গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। শস্য বিন্যাসের সময় বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের স্বল্পমেয়াদী ধান ও তেল ফসলের আধুনিক জাত অন্তর্ভুক্ত করে এবং ধানের উৎপাদন বৃদ্ধি না কমিয়েও অতিরিক্ত ফসল হিসাবে তেল ফসল (সরিষা, তিল, সূর্যমুখি, চীনাবাদাম, সয়াবিন) এগুলোর আবাদ বাড়িয়ে এ চাহিদা পূরণ সম্ভব হবে। এ জন্য বেশি করে প্রচারণা বাড়িয়ে তেল জাতীয় ফসলের চাষ বাড়ানোর কোন বিকল্প নেই।
তিনি বুধবার দুপুরে নগরীর ধোপাদিঘীর পারস্হ খামারবাড়ীতে ডিএই উপপরিচালকের সম্মেলনে কক্ষে কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর সিলেট কতৃক তেল জাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের কৃষকদের পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর সিলেট এর উপ- পরিচালক মোস্তফা ইকবাল আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,সিলেট আঞ্চলিক বীজ প্রত্যয়ন অফিসার সামছুদ্দিন আহমদ।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর সিলেট এর প্রশিক্ষণ অফিসার দীপক কুমার দাস, তেল জাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্প সিলেট এর মনিটরিং অফিসার মোঃ ফারুক হোসাইন,কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সিলেট এর অতিরিক্ত উপ পরিচালক কৃষিবিদ মোঃ আনিসুজ্জামান। অনুষ্ঠানে সিলেট জেলার বিভিন্ন উপজেলার তেল জাতীয় ফসল উৎপাদনকারী কৃষকদের মধ্যে পুরষ্কার বিতরণ করা হয়।
আরও পড়ুন
মোংলা বন্দরে জাহাজ থেকে চুরি করা মালামালসহ তিনজন আটক
এই অ্যাওয়ার্ড শুধু স্বীকৃতি নয়, সকলের জন্য অনুপ্রেরণা : উপাচার্য
কালীগঞ্জে বাণিজ্যিক ভাবে চাষ হচ্ছে ড্রাগন ফল