April 13, 2025

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Saturday, April 12th, 2025, 12:26 am

মডেল মেঘনা আলমকে অপহরণের অভিযোগ ‘সঠিক নয়’ : ডিএমপি

 

মডেল ও অভিনেত্রী মেঘনা আলমকে দরজা ভেঙে অপহরণের যে অভিযোগ করা হচ্ছে, তা সঠিক নয়। তবে দেশকে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে মেঘনা আলমকে নিরাপত্তা হেফাজতে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটিন পুলিশ (ডিএমপি)।

শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।

ডিএমপির পাঠানো বার্তায় বলা হয়, রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত করা, গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি সম্পর্কে মিথ্যাচার ছড়ানোর মাধ্যমে আন্তঃরাষ্ট্রীয় সম্পর্ক অবনতির চেষ্টা ও দেশকে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে মেঘনা আলমকে নিরাপত্তা হেফাজতে রাখা হয়েছে। সকল আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই তাকে হেফাজতে রাখা হয়েছে।

এতে আরও বলা হয়, মেঘনা আলমকে অপহরণ করার অভিযোগ সঠিক নয়। তা  সত্ত্বেও মেঘনা আলমের আইনের আশ্রয় নেয়ার অধিকার রয়েছে।

এর আগে, গত বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি বাসা থেকে মেঘনা আলমকে আটক করা হয়। আটকের আগে ফেসবুকে লাইভে তিনি বলেন, ‘দরজা ভেঙে’ পুলিশ পরচয়ধারীরা ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করছে। এর পরপরই লাইভটি বন্ধ হয়ে যায়। ১২ মিনিটের বেশি সময় ধরে চলা লাইভটি এরপর ডিলিটও হয়ে যায়।

এদিকে আটকের পরদিন বৃহস্পতিবার রাতে মডেল মেঘনাকে আদালতে হাজির করে গোয়ান্দা পুলিশ। পরে বিশেষ ক্ষমতা আইনে তাকে ৩০ দিনের আটকাদেশ দিয়ে কারাগারে পাঠায় আদালত।

আদেশে বলা হয়, ১৯৭৪ সনের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২ (এফ) ধারার জননিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা পরিপন্থি ক্ষতিকর কার্য থেকে নিবৃত্ত করার জন্য এবং আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে আবশ্যক অনুভূত হওয়ায় ১৯৭৪ সনের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ৩(১) ধারায় অর্পিত ক্ষমতাবলে মেঘনা আলমকে কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে এই আটকাদেশ স্বাক্ষরের তারিখ থেকে ৩০ দিন কারাগারে আটক রাখার আদেশ প্রদান করা হয়েছে। পরবর্তীতে তাকে কাশিমপুর কারাগারে পাঠানো হয়।

ডিটেনশন আইনে সরকার কোনো ব্যক্তিকে আদালতের আনুষ্ঠানিক বিচার ছাড়াই নির্দিষ্ট সময়ের জন্য আটক বা বন্দি করতে পারে। এই ধরনের আইন সাধারণত জননিরাপত্তা, রাষ্ট্রের নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে প্রয়োগ করা হয়।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৫ অক্টোবর ‘মিস আর্থ বাংলাদেশ’ প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন মেঘনা আলম। পরিবেশকে রক্ষা করতে ফেলে দেওয়া প্লাস্টিক দিয়ে নতুন পণ্য বানিয়ে এবং তা বিক্রয়ের মাধ্যমে উদ্যোক্তা তৈরি করে নারীদের স্বাবলম্বী করার প্রচেষ্টায় এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।