ভোলার দ্বীপ উপজেলা মনপুরায় চিকিৎসা না পেয়ে এক শিশুর মৃত্যু হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার রাত ১০ টার দিকে মনপুরা ৫০ শয্যা হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। নিহত শিশুটির নাম মো. আবদুল্লাহ।
শিশুটির চাচা মাওলানা রিয়াজ গণমাধ্যমের কাছে অভিযোগ করে বলেন, ‘শুক্রবার রাত ৮ টায় ভাতিজা আবদুল্লাহ ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হওয়ায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এসে ডা. আশিকুর রহমানকে দেখান। তিনি স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে যাবতীয় ওষুধের প্রেসক্রিপশন করে হাসপাতালে ভর্তি করে দেন এবং ক্যানোলা পুশ করে দ্রুত ওষুধ প্রয়োগ করতে বলেন। প্রথমে শিশুটিকে নিয়ে ইমারজেন্সি রুমে দায়িত্বরত কেউ না থাকায় সেখানে আধা ঘন্টা অপেক্ষা করতে হয়। পরে শিশুটিকে হাসপাতালের দোতলার দায়িত্বরত নার্সদের রুমে নিয়ে গেলে এই ঘটনা ঘটে। দেড় ঘন্টা ধরেও দায়িত্বরত নার্সরা ওই শিশুর হাতে ক্যানোলা পড়াতে পারেননি। পরে ভাতিজার মৃত্যু হয়।’
এ ব্যাপারে মনপুরা উপজেলার স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. তৈয়বুর রহমান অনুপস্থিত থাকায় ভারপ্রাপ্ত আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আশিকুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, জ্বর ও ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হওয়ায় শিশুটির শরীরে পানি শুকিয়ে যাওয়ায় ক্যানোলা পড়াতে পারেনি নার্সরা। এতে ওষুধ প্রয়োগ করতে না পারায় শিশুটির মৃত্যু হয়।
স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. তৈয়বুর রহমান মোবাইলে জানান, ওই শিশুটির অবস্থা গুরুতর ছিলো। হাসপাতালের নার্স একাধিকবার চেষ্টা করেন তাকে ক্যানোলা পুশ করার জন্য। কিন্তু ভেইন শুকিয়ে যাওয়ায় তাকে ক্যানুলা পড়াতে পারেনি।
মনপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদ আহমেদ সাংবাদিকদের জানান, শিশু মৃত্যু নিয়ে শুক্রবার রাতে হাসপাতালে গণ্ডগোল শুরু হলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
তিনি আরও বলেন, মৃত শিশুটি তার পরিবারের সদস্যরা নিয়ে গেছেন। তবে শিশু মৃত্যুর ঘটনায় কেউ অভিযোগ করেনি।
—-ইউএনবি
আরও পড়ুন
দাগনভূঞায় দূর্গোৎসবের আনন্দ ছড়িয়ে দিতে দুঃস্থ সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পাশে মেজবাহ্ সাঈদ
শেরপুর ও ময়মনসিংহে আকস্মিক বন্যা, তলিয়ে গেছে ১৬৩ গ্রাম
আরও বেড়েছে ডিমের দাম, সবজির দামও ঊর্ধ্বমুখী