অনলাইন ডেস্ক :
একের পর এক ফ্লপ দিয়ে শুরু। রোহিত শেঠির মতো বাণিজ্যিক ছবির সফল পরিচালকও তাঁর ভাগ্য ফেরাতে পারেননি। একদিকে ‘বরেলি কি বরফি’, ‘মিমি’, ‘লুকাছুপি’ দারুণভাবে সফল; আবার কৃতী শ্যানন অভিনীত ‘রাবতা’, ‘বচ্চন পান্ডে’, ‘পানিপথ’সহ আরও অনেক ছবি বক্স অফিসে চূড়ান্তভাবে ব্যর্থ। একেক তারকা ফ্লপ ছবির ধাক্কা একেক রকমভাবে সামলান। কৃতী শ্যানন কীভাবে সামলান? সম্প্রতি নিজেই জানালেন ছবি ফ্লপ হলে তাঁর কী অবস্থা হয়। কৃতী জানিয়েছেন, সফলতার পাশাপাশি ব্যর্থতাকেও তিনি মাথা পেতে নেন। আর পাঁচজন মানুষের মতোই ব্যর্থতায় ভেঙে পড়েন এই বলিউড তারকা। ব্যর্থতার প্রসঙ্গে কৃতী বলেন, ‘আমি কেঁদে ভাসাই। আমি ওই সবকিছুই করি, যা একজন সাধারণ মানুষ করেন। পর্দায়, সাক্ষাৎকারের সময় আমাকে সবাই শক্তিশালী নারী হিসেবে দেখেন। কিন্তু আমি মনে করি, নিজের আবেগের মুখোমুখি হওয়া প্রয়োজন। আর সবকিছু ঝেড়ে ফেলে পরবর্তী লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যাওয়া জরুরি।’ কৃতী শ্যানন আরও বলেন, ‘আমাদের উচিত নয় নিজেদের আবেগ, অনুভূতিকে আড়াল করা। আমরা মোটেও এ রকম ছিলাম না। আমরা যখন ছোট ছিলাম, তখন অনেক সরল ছিলাম। আমাদের তখন কষ্ট হলে কেঁদে ফেলতাম। আবার হাসতে ইচ্ছে হলে হেসে ফেলতাম। লোকে কী বলবে, এ নিয়ে আমাদের কিছু যেত-আসত না। কিন্তু বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের মধ্যে পরিপক্বতা চলে আসে। আর এই পরিপক্বতা আমাদের আবেগ-অনুভূতিকে নিয়ন্ত্রণ করে।’ তিনি বলেন, ‘আমার মন যা চায়, আমি তা-ই করি। আর এটাই আমার শক্তি। অনেক সময় অভিমান হলে কিছুদিন আমি কথা বলি না। আমার কাঁদতে ইচ্ছে হলে আমি কাঁদি। কারও সঙ্গে কথা বলতে ইচ্ছে না করলে কথা বলি না। আবার কোনো বন্ধুর সঙ্গে কথা বলতে ইচ্ছে করলে তাকে ফোন করে কথা বলি। শেষ পর্যন্ত আমি এটাই বুঝেছি যে জীবনে এগিয়ে যাওয়া খুব জরুরি। তবে আমি আমার কিছু ছবি নিয়ে একটু বেশি আবেগপ্রবণ। কারণ, এই ছবিগুলো আমার হৃদয়ের অনেক কাছের। কিন্তু আমি দীর্ঘ পথ চলতে চাই। জীবনে যা যা ঘটছে, তা খোলা মনে স্বীকার করতে চাই। একজন অভিনেতা হিসেবে একটা সময় পর আমাদের হাতে কিছু থাকে না।’কৃতির ঝুলি এখন দারুণ সব প্রকল্পে ভরপুর। শিগগিরই তাঁকে ‘শেহজাদা’, ‘গণপথ’, ‘আদিপুরুষ’, ও ‘ভেড়িয়া’ ছবিতে দেখা যাবে।
আরও পড়ুন
‘সন্দেহের ছায়ায়’ উত্তাপ ছড়ালেন জয়া
তাহসান-রোজার মধুচন্দ্রিমার ছবি-ভিডিও ভাইরাল!
সাকিব এবং তামিমের বিদায় নিশ্চিত হয়েই গেল