চট্টগ্রামে চাঁদা না পেয়ে ‘মব’ তৈরি করার অভিযোগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মহানগর কমিটির সদস্যসচিব নিজাম উদ্দিনের পদ সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে সংগঠনটি। সেই সঙ্গে তাঁকে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
মেঘনা পেট্রোলিয়ামের কর্মচারী ও জামায়াত নেতা নওশেদ জামালকে মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে নিজাম উদ্দিনের বিরুদ্ধে।
কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশে উল্লেখ করা হয়, ‘আপনার বিরুদ্ধে অভিযোগ—সংগঠনের নীতিমালা ও শৃঙ্খলা-পরিপন্থী কিছু কার্যকলাপে জড়িত হয়েছেন। একজন দায়িত্বশীল পদধারী সদস্যসচিব হিসেবে এই ধরনের কর্মকাণ্ড সংগঠনের ভাবমূর্তি ও অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলার পরিপন্থী এবং তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।’ এই প্রেক্ষাপটে কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নিজাম উদ্দিনের সংগঠনের সদস্যসচিব পদ সাময়িকভাবে স্থগিত করার কথা উল্লেখ করা হয়।
একই সঙ্গে নিজাম উদ্দিনকে সংগঠন থেকে স্থায়ীভাবে কেন বহিষ্কার করা হবে না—সে বিষয়ে একটি লিখিত ব্যাখ্যা আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে জমা দেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার নগরের ডবলমুরিং থানাধীন আগ্রাবাদ এলাকায় মেঘনা পেট্রোলিয়াম কার্যালয়ের সামনে থেকে নওশেদ জামালকে ধরে কোতোয়ালি থানা-পুলিশের হাতে সোপর্দ করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন পরিচয়ধারী নেতা-কর্মীরা। পরে তাঁকে কোতোয়ালি পুলিশের হাতে তুলে দিলে সেখানে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে নওশেদকে কারাগারে পাঠানো হয়।
ওই ঘটনার পর শনিবার নওশেদের স্ত্রী রিয়াজুল জান্নাত নগর পুলিশ কমিশনার বরাবরে একটি অভিযোগ করেন। সেখানে উল্লেখ করেন, দুই কোটি টাকা চাঁদার দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মহানগর কমিটির সদস্যসচিব নিজাম উদ্দিন ও কোতোয়ালি থানা-পুলিশকে যড়যন্ত্রমূলত তাঁর স্বামী নওশেদ জামালকে ফাঁসিয়েছেন।
এনএনবাংলা/আরএম
আরও পড়ুন
চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর যেতে ভিপি নুরের অনাগ্রহ
ডিএমপির ৫ কর্মকর্তার রদবদল
বাগেরহাটে চলছে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল, ২০ স্থানে সড়ক অবরোধ