অনলাইন ডেস্ক :
লিবিয়ার সীমান্তরক্ষীরা তিউনিসিয়ার কয়েক ডজন অভিবাসীকে উদ্ধার করেছে। পানি ও খাবার বিহীন অবস্থায় মরুভূমিতে ফেলে আসা এ ধরনের অভিবাসীর সংখ্যা ক্রমেই ‘বাড়ছে’। গত রোববার এক কর্মকর্তা একথা জানান। তিউনিসিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম নগরী স্ফ্যাক্সে জুলাইয়ের শুরুতে জাতিগত সহিংসতার পরে সাব-সাহারান আফ্রিকান দেশগুলো থেকে শত শত অভিবাসীকে জোরপূর্বক লিবিয়া ও আলজেরিয়ার সীমান্তবর্তী মরুভূমির প্রতিকূল এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। খবর এএফপি’র।
লিবিয়া-তিউনিসিয়ার সীমান্তে একটি এএফপি’র একটি দল অভিবাসীদের দৃশ্যত ক্লান্ত ও পানিশূন্য অবস্থায় গ্রীষ্মের ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস উত্তাপ থেকে নিজেদের রক্ষার প্রচেষ্টায় ঝোপঝাড়ে বালির ওপর শুয়ে বসে থাকতে দেখেছেন। দলটি ত্রিপোলি থেকে প্রায় ১৫০ কিলোমিটার পশ্চিমে তিউনিসিয়া-লিবিয়া সীমান্তের কাছে আল-আসাহ শহরের কাছাকাছি একটি জনবসতিহীন এলাকায় অবস্থান করছিল। সীমান্ত টহল ইউনিটের মোহাম্মদ আবু স্নেনাহ এএফপি’কে বলেন, ‘অভিবাসীদের সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে।’ তিনি বলেন, ‘৫০ থেকে ৭০ অভিবাসীকে উদ্ধার করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘মরুভূমির মধ্য দিয়ে তাদের যাত্রার কথা বিবেচনা করে আমরা তাদের চিকিৎসা সেবা, প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করি।’ গত ৩ জুলাই স্থানীয় ও অভিবাসীদের মধ্যে এক সংঘর্ষে এক তিউনিসিয়ান নিহত হওয়ার পর জাতিগত উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে শত শত অভিবাসী পালিয়ে যায় বা তিউনিসিয়ার স্ফ্যাক্স থেকে জোরপূর্বক বের হয়ে যেতে বাধ্য হয়। স্ফ্যাক্সে বন্দরটি দরিদ্র, সহিংস ও বিধ্বস্ত দেশ থেকে আসা অনেক অভিবাসীদের ইউরোপে যাওয়ার একটি নিরাপদ রুট। ইউরোপে উন্নত জীবন আশায় তারা বিপজ্জনক ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে, প্রায়শই নৌকায় করে বন্দরটিতে আশ্রয় নেয়।
তিউনিসিয়ার মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো শুক্রবার বলেছে, নারী ও শিশুসহ ১শ’ থেকে দেড়শ’ অভিবাসী এখনও লিবিয়ার সীমান্তে আটকে আছে। তিউনিসিয়ান রেড ক্রিসেন্ট বলেছে, তারা ৬শ’ জনের বেশি অভিবাসীকে আশ্রয় দিয়েছে। তাদেরকে ৩ জুলাইয়ের পরে ভূমধ্যসাগরীয় উপকূলে আল-আসাহ-এর উত্তরে রাস জেদির সামরিক অঞ্চলে নিয়ে যাওয়া হয়। কারা তাদের কোথায় নিয়েছে তা উল্লেখ না করে তিউনিসিয়ান ফোরাম ফর ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল রাইটস (এফটিডিইএস) শুক্রবার বলেছে, তিউনিসিয়ার পশ্চিমে, আলজেরিয়ার সীমান্তের কাছে আটকে পড়া প্রায় ১৬৫ অভিবাসীকে তুলে নেওয়া হয়েছে। জানা গেছে, লিবিয়ায়, ২০১১ সালে লৌহমানব মোয়ম্মার গাদ্দাফিকে উৎখাত করার পর দীর্ঘকাল বিশৃঙ্খলার ফলে মানব পাচারকারীরা লাভবান হয়েছে এবং দেশটি অভিবাসী নির্যাতনের অভিযোগের মুখোমুখি হয়েছে।
আরও পড়ুন
দক্ষিণ কোরিয়ায় বিমান বিধ্বস্তে নিহত বেড়ে ১৭৭
হাসিনার মতো ‘বিশ্বস্ত মিত্র’কে হারানোর ঝুঁকি নেবে না ভারত
উড়োজাহাজ বিধ্বস্তে ৩৮ জনের মৃত্যু, আজারবাইজানে রাষ্ট্রীয় শোক পালন