প্রথমবারের মতো মহাকাশের রঙিন ছবি প্রকাশ করেছে মার্কিন মহাশূন্য গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাসা। সোমবার প্রকাশিত এই ছবিটি নাসার ১০ বিলিয়ন ডলার মূল্যের জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ থেকে তোলা।
ছবিটিতে গ্যালাক্সিতে ভরপুর মহাবিশ্বের সবচেয়ে গভীরতম চেহারা দেখা যায়। এতে প্রচুর নক্ষত্র, সামনের অংশে বিশাল গ্যালাক্সি এবং অস্পষ্ট ও অত্যন্ত দূরবর্তী ছায়াপথগুলো স্পষ্ট দেখা যায়।
হোয়াইট হাউসে আয়োজিত এক আয়োজনে স্পেস টেলিস্কোপ থেকে তোলা ছবিটি প্রকাশ করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এই ছবিটি দেখে বিস্মিত হয়ে বলেন, ‘মহাবিশ্বের ইতিহাসে ১৩ বিলিয়নেরও বেশি পুরানো আলো দেখা যায়, আমি আবার বলছি ১৩ বিলিয়ন বছর আগের! এটা বিশ্বাস করা কঠিন।’
নাসার অ্যাডমিনিস্ট্রেটর বিল নেলসন বলেছেন, এটিই এখন পর্যন্ত গ্যালাক্সি ক্লাস্টারের পাওয়া সবচেয়ে স্পষ্ট ও বিস্তারিত ছবি। শত শত দাগ, রেখা, সর্পিল ও সাদা, হলুদ, কমলা এবং লালের ঘূর্ণায়মান চিত্রটি ‘মহাবিশ্বের একটি ক্ষুদ্র অংশ মাত্র’।
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যোতির্বিজ্ঞানী দিমিতার সাসেলভ বলেন, ‘আমরা আজকে যা দেখেছি, তা হল প্রাথমিক মহাবিশ্ব।’
বিশ্বের সবচেয়ে বড় এবং সবচেয়ে শক্তিশালী এই স্পেস টেলিস্কোপটি গত বছরের ডিসেম্বরে দক্ষিণ আমেরিকার ফ্রেঞ্চ গায়ানা থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়। জানুয়ারিতে পৃথিবী থেকে ১ মিলিয়ন মাইল (১ দশমিক ৬ মিলিয়ন কিলোমিটার) দূরের তার লুকআউট পয়েন্টে এটা পৌঁছে। তারপরে ক্যামেরার লেন্সগুলো সঠিক জায়গায় বসাতে দীর্ঘ প্রক্রিয়া শুরু হয়।
প্রজেক্ট বিজ্ঞানী ক্লাউস পন্টোপিডান ব্রিফিংয়ের সময় বলেন, যেহেতু বিজ্ঞানীরা আরও গভীরে যেতে ওয়েব টেলিস্কোপ ব্যবহার করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
২১ ফুট ওয়েবের সোনার ধাতুবেষ্টিত ফুলের আকৃতির আয়নাটি মহাকাশে পাঠানো সবচেয়ে বড় এবং সবচেয়ে সংবেদনশীল ওয়েব টেলিস্কোপ। এটি ১৮টি সেগমেন্ট নিয়ে গঠিত।
নাসার এই অভিযানে ইউরোপীয় ও কানাডিয়ান মহাকাশ সংস্থাগুলোও সহযোগিতা করছে।
—ইউএনবি
আরও পড়ুন
উড়োজাহাজ বিধ্বস্তে ৩৮ জনের মৃত্যু, আজারবাইজানে রাষ্ট্রীয় শোক পালন
মানুষের মস্তিষ্ক কতটা দ্রুত কাজ করে
বিশ্বে ক্ষুধার্ত মানুষ বাড়ছে, কমছে ধনী দেশের সাহায্য