নিজস্ব প্রতিবেদক:
শরিয়ত আবশ্যক করেনি এমন নফল কোনো আমল নিজের ওপর আবশ্যক করে নেওয়াকে ‘নজর’ বা মানত বলে। মানত শর্তযুক্ত ও শর্তমুক্ত হতে পারে। কেউ যদি বিশেষ উদ্দেশ্য পূরণের শর্তে কোনো আমল করার প্রতিজ্ঞা করে, তাহলে তা শর্তযুক্ত মানত। শর্ত ছাড়া কোনো আমল নিজের ওপর আবশ্যক করে নিলে তাও মানত হিসেবে গণ্য হয়।
মানত করলে তা পূর্ণ করা আবশ্যক। কোরআনে আল্লাহ বলেছেন, তারপর তারা যেন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন হয়, তাদের মানতসমূহ পূরণ করে এবং প্রাচীন ঘরের তাওয়াফ করে। (সুরা হজ: ২৯)
আরেক আয়াতে আল্লাহ তার প্রিয় বান্দাদের বর্ণনায় বলেছেন, তারা মানত পূর্ণ করে এবং সেদিনকে ভয় করে যার অকল্যাণ হবে ব্যাপক। (সুরা দাহর: ৭)
কেউ যদি মানত করে তার সন্তান হলে ছাগল জবাই করে খাওয়াবে, তাহলে সন্তান হওয়ার পর একটি মধ্যম ধরনের ছাগল জবাই করে ওই ছাগলের সব গোশত দরিদ্রদের খাওয়ানো তার ওপর ওয়াজিব।
এক পশু দিয়ে মানত পূরণ ও আকিকা করা যাবে না। মানত পূরণ ও আকিকা পৃথক আমল। আকিকার পশুর গোশত নিজেরা খাওয়া যায়, সম্পদশালী আত্মীয়দেরও খাওয়ানো যায়। আর মানতের পশুর সব গোশত দরিদ্রদের দান করে দিতে হয়। নিজেরা খাওয়া যায় না, ধনীদেরও দেওয়া যায় না।
মানত পূরণ করা ওয়াজিব আর আকিকা করা সুন্নত। রাসূল (সা.) বলেছেন, সব শিশু তার আকিকার সাথে দায়বদ্ধ অবস্থায় থাকে। জনুগ্রহণ করার সপ্তম দিনে তার পক্ষ থেকে জবাই করতে হবে, তার নাম রাখতে হবে এবং তার মাথা মুণ্ডন করে দিতে হবে। (সুনানে তিরমিজি: ১৫২২) রাসূল (সা.) একটি ছাগল জবাই করে তার নাতি হাসানের (রা.) আকিকা করেছিলেন। (সুনানে তিরমিজি: ১৬০২)
উম্মুল মুমিনিন আয়েশা (রা.) বলেছেন, রাসূল (সা.) পুত্র সন্তানের জন্য দুটি ও কন্য সন্তানের জন্য একটি পশু আকিকা করার নির্দেশ দিয়েছেন। (সুনানে তিরমিজি) হজরত আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ইহুদিরা পুত্রসন্তানের আকিকা করত কিন্তু কন্যাসন্তানের আকিকা করত না। আপনারা পুত্রসন্তানের জন্য দুটি ছাগল এবং কন্যাসন্তানের জন্য একটি ছাগল দিয়ে হলেও আকিকা করুন। (সুনানে কুবরা লিলবায়হাকি: ১৯৭৬০)
আরও পড়ুন
শীতে ভিটামিন সি’র ঘাটতি মেটাতে যেসব ফল খাবেন
বিশ্বে ক্ষুধার্ত মানুষ বাড়ছে, কমছে ধনী দেশের সাহায্য
সাবেক মন্ত্রী কায়কোবাদের সঙ্গে তুর্কী এমপির সাক্ষাৎ