November 17, 2025

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Monday, November 17th, 2025, 1:23 pm

মানবতাবিরোধী অপরাধে শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে রায় পড়া শুরু

 

জুলাই গণআন্দোলনে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে রায় পড়া শুরু করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

সোমবার (১৭ নভেম্বর) ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদার নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ ৪৫৩ পৃষ্ঠার ছয় অধ্যায়ের এই রায় পাঠ শুরু করেন। বেঞ্চের অন্য সদস্যরা হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

এর আগে গত ১৩ নভেম্বর এই মামলার রায় ঘোষণার জন্য আজকের দিনটি নির্ধারণ করে ট্রাইব্যুনাল।

রাষ্ট্রপক্ষের হয়ে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম, গাজী এমএইচ তামিম, ফারুক আহাম্মদসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন। গত ২৩ অক্টোবর সমাপনী যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। তিনি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মানবতাবিরোধী অপরাধের কারণে প্রধানমন্ত্রীর মতো শীর্ষ নেতাদের বিচার হওয়ার নজির তুলে ধরে শেখ হাসিনা ও কামালের সর্বোচ্চ সাজা দাবি করেন।

পরে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবীর যুক্তির কয়েকটি বিষয়ে জবাব দেন চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম। এরপর স্টেট ডিফেন্স আইনজীবী আমির হোসেনও পাল্টা বক্তব্য উপস্থাপন করেন।

মামলার আরেক আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন রাজসাক্ষী হিসেবে ট্রাইব্যুনালে জবানবন্দি দেওয়ায় তার শাস্তির বিষয়ে সিদ্ধান্ত ট্রাইব্যুনালের ওপরই ছেড়ে দেয় প্রসিকিউশন। তার আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ অবশ্য মামুনের খালাস দাবি করেন।

মোট ৮৪ সাক্ষীর মধ্যে ৫৪ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। চলতি বছরের ৩ আগস্ট প্রথম সাক্ষী খোকন চন্দ্র বর্মণের মাধ্যমে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয় এবং ৮ অক্টোবর তদন্ত কর্মকর্তা মো. আলমগীরের জেরা গ্রহণের মধ্য দিয়ে সাক্ষ্য পর্ব শেষ হয়। এরপর ২৩ অক্টোবর প্রসিকিউশন ও ডিফেন্সের যুক্তিতর্ক সম্পন্ন হয়।

তিন আসামির বিরুদ্ধে উসকানি, মারণাস্ত্র ব্যবহার, আবু সাঈদ হত্যা, চানখারপুল হত্যাকাণ্ড এবং আশুলিয়ায় লাশ পোড়ানোর অভিযোগসহ মোট পাঁচটি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনে প্রসিকিউশন। মামলার আনুষ্ঠানিক অভিযোগপত্র ৮ হাজার ৭৪৭ পৃষ্ঠার, যার মধ্যে তথ্যসূত্র দুই হাজার ১৮ পৃষ্ঠা, জব্দতালিকা ও দালিলিক প্রমাণ চার হাজার পাঁচ পৃষ্ঠা এবং শহীদদের তালিকার বর্ণনা দুই হাজার ৭২৪ পৃষ্ঠা। গত ১২ মে তদন্ত প্রতিবেদনটি চিফ প্রসিকিউটরের কাছে জমা দেয় তদন্ত সংস্থা।

এনএনবাংলা/