এপার-ওপার বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান ফিরে গেলেন ৪৫ বছর আগে। মায়ের বিয়ের শাড়ি গায়ে জড়িয়ে স্মৃতির মায়ায় নিজেকে করলেন আপ্লুত। নিজের কথা বলতে গিয়ে আজ বললেন মায়ের কথা, ছোট্টবেলার স্মৃতিগুলোর কথা, যা এখনো মনে উঁকিঝুকি দেয় অবেলায়-অকারণ।
বুধবার (২২ অক্টোবর) সকালে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে কয়েকটি ছবি এবং এর পেছনের গল্পের ঝাঁপি খুলে দিলেন ভক্ত-অনুরাগীদের জন্য।

জয়া লেখেন, এই ছবিগুলোতে যে দুটো শাড়ি দেখা যাচ্ছে, সেগুলোর বয়স ৪৫ বছর। আসলে এগুলো আমার মায়ের বিয়ের শাড়ি। একটা বিয়ের, একটা বউভাতের। বাবা কিনে নিয়ে গিয়েছিলেন কলকাতা থেকেই। সোনার সুতোয় কাজ করা এক চিরন্তন রূপকথা, এখনো ঠিক যেন নতুন নতুন বিবাহের গন্ধে ভরপুর।

শাড়ি নিয়ে বোনদের কাড়াকাড়ির কথা স্মরণ করে তিনি আরও লেখেন, এই দুটো শাড়ি নিয়ে সেই কিশোরী বেলা থেকে আমরা দুই বোন কী কাড়াকাড়িটাই না করেছি! বিবাদ হোক বা খুনসুটি যা-ই বলি না কেন, সেটা হতো কে কোনটা নেবে তাই নিয়ে! আমি বলতাম নীলটা আমার, বোনের পছন্দ ছিল টুকটুকে লালটা! কখনো কখনো কিশোরী খেয়ালে পছন্দ যে ওলটপালট হতো না তা নয়, পরে বুঝেছি এই দুটো শাড়িই আমাদের কাছে অমূল্য সম্পদের মতো, আর তাতেই এত টান।

অভিনেত্রীর কথায়, মৌসুমী ভৌমিকের গানের সেই যে মরমি লাইনটা, কিছু ফেলতে পারি না—আমার হয়েছে সেই অবস্থা। সবকিছুর ওপরেই স্নেহ, একটা অদ্ভুত মায়া। আমার মায়ের যত পুরাতন শাড়ি, মায়ের বিয়ের শাড়ি, আমার জন্মের আগে মায়ের স্বাদ ভক্ষণের শাড়ি সব রয়ে গেছে আমার কাছে। আলমারির যত্নে, ন্যাপথালিনের রূপকথায় আত্মকথার ইতিহাস। আর আমার মাতৃতান্ত্রিক শ্রদ্ধাজ্ঞাপন মাত্র।
এনএনবাংলা/

আরও পড়ুন
পদে থেকে কোনো উপদেষ্টা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না: ইসি আনোয়ারুল
চলতি বছর ডেঙ্গুতে মৃত্যু ছাড়াল ৪০০
ইউনেস্কোর ঐতিহ্যের স্বীকৃতি পেল ‘টাঙ্গাইল শাড়ি বুনন শিল্প’