অনলাইন ডেস্ক :
১৯৯০ সালে নিউইয়র্কের ম্যানহাটানের একটি দোকানে লেখক ই জিন ক্যারলেকে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প যৌন হেনস্তা করেছিলেন। এই অভিযোগ সামনে এনে ২০১৯ সালে মামলা করেছিলেন ই জিন ক্যারল। ওই মামলার পর ট্রাম্প এ বিষয়ে বেশকিছু মন্তব্য করেন। ট্রাম্পের মন্তব্য মানহানিকর দাবি করে ফের আদালতের দ্বারস্থ হন ক্যারল। গত বুধবার নিউইয়র্কের এক আদালতে ওই মামলার শুনানি ছিল। শুনানির শেষে ডিস্ট্রিক্ট জজ রায়ে বলেছেন, ‘২০১৯ সালে ক্যারলকে নিয়ে ট্রাম্প যে মন্তব্য করেছিলেন তা মানহানিকর।’ অর্থাৎ, ক্যারলের অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হয়েছে। রায়
ঘোষণার সময় ডিস্ট্রিক্ট জজ লিউইস কাপলান বলেন, গত মে মাসে এই মামলার সঙ্গে যুক্ত অন্য একটি মামলায় জুরিরা ট্রাম্পকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল। ১৯৯০ সালে ট্রাম্প ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে ক্যারলকে যৌন হেনস্তা করেছিলেন বলে জানিয়েছিলেন জুরিরা। দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর ট্রাম্পকে ওই মামলায় পাঁচ মিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ দিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু, ট্রাম্প উচ্চ আদালতে আপিল করেন। আগামী বছরের জানুয়ারিতে সেই মামলার শুনানি হবে। বিচারক গত বুধবার বলেন, ওই মামলার নিষ্পত্তি হলে জানা যাবে, সব মিলিয়ে ট্রাম্পকে কত টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
এদিকে সম্পত্তির মামলাতেও ধাক্কা খেয়েছেন ট্রাম্প। ওই মামলার শুনানি পিছিয়ে দেওয়ার জন্য আদালতে আবেদন করেছিলেন ট্রাম্পের আইনজীবীরা। নিউইয়র্কের আদালত জানিয়েছে, ওই মামলা নির্দিষ্ট সময়েই হবে। ২ অক্টোবর ট্রাম্পের ওই মামলা আদালতে হাজির হওয়ার কথা। এছাড়াও ট্রাম্পের বিরুদ্ধে চারটি ফৌজদারি মামলা চলছে। এর মধ্যে দুটি মামলা নির্বাচনের ফলাফল সংক্রান্ত। নির্বাচনের ফলাফল মানতে চাননি ট্রাম্প। তিনি ফলাফলে প্রভাব খাটাতে চেয়েছিলেন বলে অভিযোগ। সম্প্রতি জর্জিয়ায় এমনই একটি মামলার জেরে জেলে গিয়ে জামিন নিতে হয়েছে তাকে। এতকিছুর পরেও ২০২৪ সালের নির্বাচনের জন্য লড়াই করছেন ট্রাম্প। রিপাবলিকান প্রার্থীদের মধ্যে এখনও তিনি সবচেয়ে এগিয়ে।
আরও পড়ুন
উড়োজাহাজ বিধ্বস্তে ৩৮ জনের মৃত্যু, আজারবাইজানে রাষ্ট্রীয় শোক পালন
বিশ্বে ক্ষুধার্ত মানুষ বাড়ছে, কমছে ধনী দেশের সাহায্য
গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসন চলছেই, একদিনে নিহত ৫৮