অনলাইন ডেস্ক :
মায়ের জন্য পাগলের মতো ওষুধ খুঁজছিলেন ভ্যালেরিয়া মাকসেটস্কা। রাশিয়ার হামলায় প্রাণ গেলো এই ইউক্রেনীয় নারীর। তিনি চিকিৎসাকর্মী হিসেবে কাজ করছিলেন রাজধানী কিয়েভে। দোনেৎস্কতে রুশ বাহিনীর হামলার মধ্যেও কাজ করেন তিনি। এরপর মাকে নিয়ে চলে যান রাজধানী কিয়েভে। দেশ ছাড়ার প্রস্তাব পেলেও তা ফিরিয়ে দিয়েছেন বার বার। অবশেষে দেশের মাটিতেই প্রাণ গেলো তার। কিয়েভে পৌঁছে ভ্যালেরিয়া যোগ দেন ইউনাইটেড স্টেটস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভলপমেন্টে (ইউএসএআইডি)। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে সংস্থাটির হয়েই আহতদের চিকিৎসা করছিলেন তিনি। জানা গেছে, রুশ বাহিনীর ট্যাঙ্কের ছোঁড়া গোলাতে মৃত্যু হয়েছে ভ্যালেরিয়ার। আর মাত্র কদিন পরই ছিল তার ৩২তম জন্মদিন। ভ্যালেরিয়ার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইউএসএআইডি-র সামান্থা পাওয়ারও। ২০১৪ সালে রাশিয়ার ক্রিমিয়া আগ্রাসনের সময়ও আহতদের চিকিৎসায় মাঠে নেমেছিলেন ভ্যালেরিয়া। সামান্থা শোকবার্তায় জানিয়েছেন, রুশ আগ্রাসন শুরুর সময়ই ইউক্রেন ছাড়তে পারতেন। কিন্তু ভ্যালেরিয়া মনে করতেন, তিনি যে কাজে আছেন, তা যুদ্ধের সময়ই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তাই দেশ ছেড়ে যাওয়ার প্রশ্নই নেই। মায়ের ওষুধের খোঁজ করতে হন্নে হয়ে ঘুরছিলেন, কিন্তু রাশিয়ার গোলা তাকেও ছাড়লো না। ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত ২৫ লাখের মতো মানুষ দেশ ছেড়েছেন। ঘটেছে বেসামরিক লোক হতাহতের ঘটনাও।
আরও পড়ুন
ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধের পর প্রথমবার জনসমক্ষে খামেনি
বিমানে ২০০ জনকে সীমান্তে আনলো ভারত, টার্গেট বাংলাদেশে ‘পুশইন’
নতুন রাজনৈতিক দল ‘আমেরিকা পার্টি’ গঠনের ঘোষণা ইলন মাস্কের