পল্টন থানায় করা মামলায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের জামিন চেয়ে এবার হাইকোর্টে আবেদন করা হয়েছে।
সোমবার তাদের পক্ষে আইনজীবী সগীর হোসেন লিওন পৃথক এই আবেদন করেন।
সোমবার জামিন আবেদন দু’টি বিচারপতি মো. সেলিম ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের হাইকোর্ট বেঞ্চে উত্থাপন করা হয়। পরে আদালত এ আবেদনের ওপর আগামীকাল শুনানির জন্য তারিখ নির্ধারণ করেন।
বিএনপির আইন সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এর আগে গত ২১ ডিসেম্বর তাদের জামিন আবেদন চতুর্থ বারের মতো নাকচ করে আদেশ দেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আসাদুজ্জামান।
এছাড়া, গত ১৫ই ডিসেম্বর ঢাকার অতিরিক্ত মহানগড় হাকিম তোফাজ্জল হোসেন শুনানি শেষে আসামিদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন।
১২ ডিসেম্বর ঢাকার আরেকটি আদালত একই মামলায় মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসের জামিন আবেদন খারিজ করে দেন। গত ৭ ডিসেম্বর বিকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এতে একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। আহত হন অনেকে। এসময় বিএনপি কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে চাল-ডাল, পানি, নগদ টাকা ও বিস্ফোরক দ্রব্য পাওয়া যায় বলে দাবি করে পুলিশ।
এ ঘটনায় ডিসেম্বর মতিঝিল, পল্টন ও শাহজাহানপুর থানায় ৪৭৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত পরিচয় প্রায় দুই হাজার বিএনপি নেতাকর্মীকে আসামি করে মামলা করা হয়। ৮ ডিসেম্বর রাত ৩টার দিকে মির্জা ফখরুল ও আব্বাসকে জিঞ্জাসাবাদের কথা বলে তাদের নিজ নিজ বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায় ডিবি পুলিশ। পরে ফখরুল ও আব্বাসকে গ্রেপ্তার দেখায় ডিবি পুলিশ।
পরদিন ৯ ডিসেম্বর পুলিশ তাদের আদালতে হাজির করে। এসময় মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত গ্রেপ্তার বিএনপি নেতাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক তরিকুল ইসলাম।
অন্যদিকে, আসামিপক্ষের আইনজীবীরা জামিন আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিম জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
—-ইউএনবি
আরও পড়ুন
কাতারের আমিরকে ধন্যবাদ দিয়ে যা বললেন তারেক রহমান
পিএসসির তিন সদস্য নিয়োগ নিয়ে জামায়াতের আপত্তি
কার দিকে, কেন তেড়ে গিয়েছিলেন তামিম