অনলাইন ডেস্ক :
শীতকালীন অলিম্পিকের পর এই বছরের প্রথমার্ধে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের প্রধান মিশেল ব্যাচেলেটকে জিনজিয়াং সফরের অনুমতি দিতে যাচ্ছে চীন। পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত সূত্রের বরাত দিয়ে সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট এই খবর জানিয়েছে। জিনজিয়াং সফরে যেতে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর থেকে বেইজিংয়ের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের শীর্ষ কর্মকর্তারা। ধারণা করা হয়ে থাকে জিনজিয়াংয়ের শিবিরে ১০ লাখের বেশি উইঘুর মুসলিমকে আটক করে রেখেছে চীন। তবে এই খবরের বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনও মন্তব্য করেনি ব্যাচেলেটের কার্যালয়। সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট জানিয়েছে, মিশেল ব্যাচেলেট সম্প্রতি জিনজিয়াং সফরে যেতে বেইজিংয়ের অনুমোদন পেয়েছেন। আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি শুরু হতে যাওয়া বেইজিং শীতকালীন অলিম্পিকের পর যেকোনও সময়ে এই সফর অনুষ্ঠিত হবে। তবে পূর্বশর্ত হিসেবে বলা হয়েছে, এই সফর হবে ‘বন্ধুত্বপূর্ণ’ প্রকৃতির আর এতে তদন্তের কোনও কাঠামো থাকবে না। এছাড়া বেইজিং চায় মিশেল ব্যাচেলেটের কার্যালয় ওয়াশিংটনের অনুরোধ অনুযায়ী অলিম্পিকের আগে জিনজিয়াং বিষয়ক প্রতিবেদন প্রকাশ আটকে রাখবে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্রটি বলেছে, ‘ব্যাচেলেট এবং জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেসের সঙ্গে সাম্প্রতিক দফা আলোচনার পর চীন বেইজিং অলিম্পিকের পর বছরের প্রথমার্ধে ব্যাচেলেটের সফর আয়োজনে সম্মত হয়েছে। কিন্তু চীন আরও বলেছে, মূল শর্ত হবে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন জিনজিয়াং প্রতিবেদন প্রকাশ করবে না।’ শীতকালীন অলিম্পিক যত এগিয়ে আসছে জিনজিয়াং এ মানবাধিকার হরণের অভিযোগ নিয়ে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে উত্তেজনা তত বাড়ছে। ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রসহ কয়েকটি দেশ বেইজিং অলিম্পিকে কূটনীতিক না পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। চীন বরাবরই জিনজিয়াং এ মানবাধিকার হরণের অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। তাদের দাবি ওই অঞ্চলে ধর্মীয় উগ্রবাদ মোকাবিলায় তারা ভোকেশনাল ট্রেনিং কর্মসূচি চালু রেখেছে। ফাইজারের করোনা বড়ির অনুমোদন দিল ইইউ ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) দেশগুলোতে করোনা চিকিৎসায় প্রথমবারের মতো যোগ হতে যাচ্ছে মুখে খাওয়া বড়ি। মার্কিন ওষুধ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ফাইজারের করোনা বড়ি প্যাক্সলোভিডের অনুমোদন দিয়েছে ইইউয়ের ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ইউরোপিয়ান মেডিসিনস এজেন্সি (ইএমএ)। স্থানীয় সময় গত বৃহস্পতিবার সংস্থাটির পক্ষ থেকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। গবেষণার বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে বলা হচ্ছে, প্যাক্সলোভিড বড়ি করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর মারাত্মক শারীরিক জটিলতার ঝুঁকি কমায়। ফলে এই চিকিৎসা নেওয়া রোগীদের হাসপাতালে ভর্তি ও মৃত্যুর হার বেশ কম। এমনকি করোনার অতিসংক্রামক ধরন ওমিক্রনের রুখতেও বেশ কার্যকর ফাইজারের করোনা বড়ি। এ বিষয়ে ইইউয়ের স্বাস্থ্য বিষয়ক কমিশনার স্টেলা কিরিয়াকিডেস বলেন, করোনার মারাত্মক শারীরিক জটিলতার ঝুঁকিতে থাকা রোগীদের জন্য প্যাক্সলোভিড বড় বদল আনতে পারে। অমিক্রন ও অন্য ধরনগুলোর বিরুদ্ধে ওষুধটির কার্যকারিতার বড় প্রমাণ দেখা গেছে। এক বিবৃতিতে সংস্থাটি বলছে, করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর যেসব প্রাপ্তবয়স্কদের আলাদা অক্সিজেন সরবরাহের প্রয়োজন পড়ে না এবং যাঁদের শারীরিক অবস্থা গুরুতর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে তাঁরাই নিতে পারবেন এই চিকিৎসা।
আরও পড়ুন
হাসিনার মতো ‘বিশ্বস্ত মিত্র’কে হারানোর ঝুঁকি নেবে না ভারত
উড়োজাহাজ বিধ্বস্তে ৩৮ জনের মৃত্যু, আজারবাইজানে রাষ্ট্রীয় শোক পালন
বিশ্বে ক্ষুধার্ত মানুষ বাড়ছে, কমছে ধনী দেশের সাহায্য