মানবাধিকারকর্মী ও বিশিষ্ট আলোকচিত্রী ড. শহিদুল আলম ইসরায়েলের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে শনিবার (১১ অক্টোবর) ভোর ৪টা ৫৫ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দেশে ফিরেছেন। দেশে ফিরে তিনি দেশবাসী ও সরকারকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।
গাজার যুদ্ধবিধ্বস্ত মানুষের সহায়তায় ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেওয়ার সময় বিশ্বের আরও ১৪৪ জন বিশিষ্ট ব্যক্তির সঙ্গে শহিদুল আলমকেও আটক করে ইসরায়েলি বাহিনী।
দেশে ফেরার পর গাজা বিষয়ে নিজের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে তিনি বলেন, “গাজা এখনও মুক্ত নয়, সেখানে এখনো আক্রমণ চলছে। আমাদের কাজ শেষ হয়নি। গাজার মানুষের ওপর যে নির্যাতন চলছে, তার তুলনায় আমাদের ভোগান্তি খুবই সামান্য।”
গত বুধবার ভোরে ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী ‘কনশানস’ জাহাজ থেকে ড. শহিদুল আলমসহ সাংবাদিক, স্বাস্থ্যকর্মী ও ক্রু সদস্যদের আটক করে। এরপর প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের দপ্তর থেকে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দ্রুত কূটনৈতিক যোগাযোগ স্থাপনের নির্দেশ দেওয়া হয়। জর্ডান, মিশর ও তুরস্কে অবস্থিত বাংলাদেশের দূতাবাসগুলো শহিদুল আলমের মুক্তি নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে তাৎক্ষণিকভাবে যোগাযোগ করে।
দেশে ফেরার আগে শহিদুল আলম তেল আবিব থেকে তুরস্কে পৌঁছান। এদিকে, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস শহিদুল আলমের মুক্তি ও নিরাপদ প্রত্যাবর্তনে সহযোগিতার জন্য তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
এনএনবাংলা/
আরও পড়ুন
আগামী নির্বাচনে আইনের শাসনের দৃষ্টান্ত দেখাতে চায় নির্বাচন কমিশন: সিইসি
উপদেষ্টাদের কারও সেফ এক্সিটের প্রয়োজন নেই: আসিফ নজরুল
চীনের ওপর অতিরিক্ত ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করতে যাচ্ছেন ট্রাম্প