কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি:
মুছাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনের গেইট দখল করে সপ্তাহে দুই দিন বসানো হচ্ছে হাঁস-মুরগি ও কাঁচাবাজারের হাট, যা শিক্ষার্থীদের জন্য চলাচলে মারাত্মক ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই অবস্থায় ব্যাহত হচ্ছে বিদ্যালয়ের স্বাভাবিক পরিবেশ, সৃষ্টি হয়েছে বিশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তাহীনতার।
একই ক্যাম্পাসে অবস্থিত দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান — মুছাপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রায় ৯০০ শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত। সপ্তাহের সোমবার ও বৃহস্পতিবার, দুপুর ১২টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত বিদ্যালয়ের মূল প্রবেশপথ ঘিরে বসে এই বাজার।
এই সময় শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে প্রবেশ ও বাহিরে চলাচলে বাধার মুখে পড়ে। বিশেষ করে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছোট শিশুদের ও ছাত্রীদের জন্য এটি চরম ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। বাজারে আসা যানবাহন, জনসমাগম এবং অবাধ চলাচলের ফলে দুর্ঘটনা অপরাধের আশঙ্কাও থেকেই যাচ্ছে।
স্থানীয়দের মতে, বাজারে হাঁস-মুরগি, কাঁচা তরকারি, বিভিন্ন পণ্যের ব্যবসায়ীরা স্থানটি দখল করে রাখেন। এতে শুধুমাত্র চলাচলই নয়, বিদ্যালয় গেইটের ভেতর লোকজনের পস্রাব করায় ছড়িয়ে পড়ছে দুর্গন্ধ ও ময়লা-আবর্জনা, যা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিবেশের জন্য চরম অবমাননাকর এবং কোমলমতি শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপত্তার হুমকি।
এছাড়া সন্ধ্যার পর পর্যন্ত চলা এই হাটে অবাঞ্ছিত লোকজনের আনাগোনা,বেড়েছে অপরাধ প্রবণতার আশঙ্কা।
স্থানীয় অভিভাবক ও সচেতন নাগরিকরা দ্রুত এই সমস্যার সমাধান চাচ্ছেন। তারা সংশ্লিষ্ট প্রশাসন, শিক্ষা কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের হস্তক্ষেপ কামনা করে
স্কুল চলাকালীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনে হাট বন্ধ করা, শিক্ষার্থীদের নিরাপদ যাতায়াত নিশ্চিত করা,শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিবেশ সংরক্ষণে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবী জানান।
আরও পড়ুন
ডুমুরিয়া উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ভোটার সমাবেশ ও গণসংযোগ
বড়লেখা সীমান্তে বিএসএফের পুশইনকৃত ২০ রোহিঙ্গাসহ আটক-২১
কুলাউড়া বিএনপির সম্মেলন ও কাউন্সিল