আবুল কালাম আজাদ, মুরাদনগর (কুমিল্লা) প্রতিনিধিঃ
মুরাদনগর উপজেলা ২২টি ইউনিয়নের ৩১৬টি গ্রামের প্রায় ৬ লাখ মানুষের ২২ হাজার হেক্টর জমিতে
তিন ফসলী জমি থাকলেও শীতকালিন মৌসুমে ৩০ হেক্টর জমিতে জৈব সার প্রয়োগ, আগাছা দমনে
মালচিং পদ্ধতি ও পোকামাকড় দমনে ফেরোমন ট্র্যাপের ব্যবহারে নিরাপদ পরিবেশ বান্ধবে কৌশলের
মাধ্যমে নিরাপদ সবজি উৎপাদিত হচ্ছে বেগুন, মিষ্টি কুমড়া, শিম, পটোল চাষ করছেন ৫শ’ কৃষক-
কৃষানীরা। এছাড়াও ঘরের টিনের চালে, বাড়ীর আঙ্গীনায়, রাস্তার পাশে, পুকুর-দীঘিরপাড়ে মাচাতে ছিম
গাছে ফুল দেখা গেছে। সবজিতে ডগায় সাদা-হলুদ ফুল। কোনোটাতে ফলও ধরেছে। টমেটো গাছে ফুটে
আছে হলুদ ফুল।
t
মুরাদনগর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, কৃষি বিভাগের কারিগরী সহায়তা ও
পরামর্শে টমেটো, ফুলকপি, করলা, বেগুন, শিম, লাউ, পটোল, লাল শাকসহ প্রায় ১৫ ধরনের বিষমুক্ত
সবজি চাষ করা হচ্ছে। মুরাদনগর, ধামঘর, বাখলনগর, মধ্যনগর, বাবুটিপাড়া, পূর্বধৈইর পশ্চিম
ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামে প্রায় ৩০ হেক্টর জমিতে বিষমুক্ত সবজি চাষ হচ্ছে।
মধ্যনগর গ্রামের মোসাঃ ইয়াসমিন আক্তার বলেন, ৪০ শতাংশ জমিতে নিরাপদ ছিম, টমেটো চাষ করে
এত লাভ হবে, কখনো ভাবিনি। সামনের মৌসুমে আরও বেশি জমিতে ছিম ও টমেটো চাষ করবো। টমেটোর
জমিতে কোনো কীটনাশক ব্যবহার করা হয়নি।
বাখলনগর গ্রামের বাবুল বলেন, কীটনাশকের বদলে জৈব বালাইনাশক ও সেক্স ফেরোমন ফাঁদের
ব্যবহার করায় লাউ চাষে বিষ প্রয়োগ করতে হয়নি। ৩০ শতক জমির লাউ থেকে খরচ বাদে কমপক্ষে ১
লাখ টাকা লাভ হবে বলে তিনি আশা করছেন।
কৃষক তপন বলেন, ৩০ শতক জমিতে ফুলকপি চাষ করছি। আইপিএম পদ্ধতি ব্যবহারে আগের চেয়ে
খরচ কমেছে। ফলে লাভ বেশি হবে।
মুরাদনগর কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার পাভেল খান পাপ্পু বলেন, মুরাদনগর উপজেলায় পরিবেশ বান্ধব
কৌশলের মাধ্যমে নিরাপদ সামাজিক আবাদ ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমরা বিভিন্ন প্রদর্শনী , প্রশিক্ষণ ও উদ্বুদ্ধকরণের মাধ্যমে আরও বৃদ্ধি করার চেষ্টা করছি।
আরও পড়ুন
সাংবাদিকদের সাথে রংপুর পুলিশ সুপারের মতবিনিময়
অগ্নিকান্ডে মিঠাপুকুরের নয়ন একমাত্র উপার্জনকারীর মৃত্যুতে দিশেহারা পরিবার
সাবেক মন্ত্রী কায়কোবাদের সঙ্গে তুর্কী এমপির সাক্ষাৎ