আবুল কালাম আজাদ,মুরাদনগর (কুমিল্লা) প্রতিনিধি:
জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ৩ নারীসহ ৫ জন আহত হয়েছে। ভূক্তভোগি পরিবার থানার পর পর দু’বার অভিযোগ দেওয়ার পরও প্রতিপক্ষের মামলায় হয়রানির অভিযোগ পাওয়া েেগেছে। কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার ধামঘর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, ধামঘর গ্রামের মৃত কালা মিয়ার ছেলে বিল্লাল হোসেনের মায়ের ক্রয়কৃত বসত ভিটায় প্রতিবেশী মৃত ছায়েদ আলীর ছেলে গ্রাম পুলিশ মো. হোসেনের নেতৃত্বে গত ২৪ আগষ্ট অবৈধ ভাবে জোরপূর্বক দখল ও স্থাপনা নির্মান করার চেষ্টা করে। এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ করার পর এসআই রুহুল আমিন ঘটনাস্থলে গিয়ে বিরোধপূর্ণ জায়গায় স্থাপনা নির্মান করতে নিষেধ করেন। ঘটনার ৫দিন পর গত ২৯ আগষ্ট পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে ওই বেরোধপূর্ণ জায়গায় আবারো ঘর নির্মাণ করার চেষ্টা করলে বিল্লাল হোসেনের পরিবার বাধঁা দেয়। এ সময় গ্রাম পুলিশ ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে দলবল নিয়ে প্রতিপক্ষের উপর আক্রমন চালায়। হামলায় বিল্লাল হোসেন, বিল্লালের মা রাইতুনের নেছা, তার স্ত্রী স্বপ্না আক্তার, শাহআলম মিয়া ও তার স্ত্রী রেখা আক্তার আহত হয়। এ ঘটনায় আহত শাহআলম বাদী হয়ে নামধারী ৮জনসহ অজ্ঞাতনামা আরো ১০/১৫ জনের বিরুদ্ধে মুরাদনগর থানায় অভিযোগ করে।
ভূক্তভোগি পরিবার মঙ্গলবার দুপুরে নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করে অভিযোগ করে রাইতুনের নেছা বলেন, আমার নামে দলিলকৃত ২ শতক বাড়িতে গ্রাম পুলিশ মো. হোসেন জোরপূর্বক ঘর তুলতে চেষ্টা করে। তাদের হামলায় আমার ২ ছেলে ও ২ পুত্রবধুসহ আমি আহত হই। এ বিষয়ে আমরা থানায় অভিযোগ দেওয়ার পরও পুলিশ আমাদের অভিযোগ আমলে না নিয়ে উল্টো তাদের মামলায় আমরা হয়রানির শিকার হচ্ছি। গত ৩০ আগষ্ট রাত আনুমানিক ১টায় এসআই আবদুল্লাহ আল মামুনের নেতৃত্বে বহিরাগত লোকজন ভূক্তভোগি শাহআলমের বসত ঘরের দরজা ও জানালা ভেঙ্গে জোরপূর্বক প্রবেশ করে। তখন পুলিশের সাথে থাকা বহিরাগত লোকজন নারী ও শিশুদের অশ্রাব্য ভাষায় গালমন্দ ও আতংক সৃষ্টি করে ভয়ভীতি দেখায়। ভূক্তভোগি পরিবারটির অভিযোগ আমলে নিয়ে এবং পুলিশী হয়রানি বন্ধের দাবি জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে গ্রাম পুলিশ হোসেন মিয়ার মেয়ে ইয়াছমিন আক্তার বলেন, আমাদের পৈত্রিক সম্পতিতে ঘর নির্মাণ করতে গেলে উল্টো তারা বাধঁা প্রদান করে এবং আমাদের উপর হামলা চালায়। আমি বাদী হয়ে এ ঘটনায় থানায় মামলা করেছি।
মুরাদনগর থানার এসআই আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, আমরা অভিযোগ পেয়ে টহল টিম সাথে নিয়ে আসামীদের বাড়িতে তল্লাশী চালিয়েছি। কোন প্রকার ভাংচুর ও কাউকে ভয়ভীতি দেখানো হয়নি।
মুরাদনগর থানার ওসি জাহিদুর রহমান বলেন, অভিযোগ পেয়ে মামলা নিয়েছি। অপর পক্ষ অভিযোগ করলেও আমার সাথে যোগাযোগ না করায় মামলা নেওয়া সম্ভব হয়নি। তাদের পরিবারের কেউ যোগাযোগ করলে মামলা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন
জমকালো আয়োজন নর্থ ইষ্ট মেডিকেল কলেজ ডে পালিত
সিলেটের ‘সাদা পাথর’ লুটপাট: সিআইডি অনুসন্ধান শুরু, ৫০ জনের সংশ্লিষ্টতা যাচাই
জয়পুরহাটে রেলের সম্পত্তির উপর গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনায় উচ্ছেদ অভিযান