March 3, 2025

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Saturday, March 1st, 2025, 11:50 pm

মে’তে মোহামেডানের নির্বাচন-দুদকের মামলা থেকে লোকমানকে খালাস

 

২০২১ সালের মার্চ সর্বশেষ নির্বাচন হয়েছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব লিমিটেডের। এই পরিচালনা পর্ষদের মেয়াদ দুই বছর। ২০২৩ সালের মার্চের মধ্যে নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও কেটে গেছে আরো দুই বছর। ক্লাবের গঠনতন্ত্র অনুসারে দেশের ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটি এখন আইনি জটিলতায় পড়ার শঙ্কায়। অবস্থায় মোহামেডানের বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ আগামী তিন মাসের মধ্যেই নির্বাচন সম্পন্ন করার উদ্যোগ নিয়েছে

শনিবার অনুষ্ঠিত হয়েছে ক্লাবের পরিচালনা পর্ষদের সভা। সভায় মে মাসে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। দিনক্ষণ ঠিক না করলেও মে মাসের অথবা ১০ তারিখে নির্বাচন করার একটা প্রাথমিক তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে সভায়

এই সভায় একটি বিশেষ কমিটি গঠনেরও সিদ্ধান্ত হয়েছে। ক্লাবের গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়ে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেবে এই কমিটি। ক্লাবের একজন পরিচালককে চেয়ারম্যান একজন স্থায়ী সদস্যকে সদস্যসচিব করে গঠিত ওই কমিটি ক্লাবের আগামী সাধারণ সভা নির্বাচনের যাবতীয় কাজগুলো করবেন

দিকে দীর্ঘদিন ক্লাবে যাতায়াত না করা সাবেক ডিরেক্টর ইনচার্জ মো. লোকমান হোসেন ভূঁইয়ার আবার ক্লাবের পরিচালনা পর্ষদে ফেরার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগে ২০১৯ সালে তার বিরুদ্ধে মামলা করেছিল দুদক। বছর পর সেই মামলার রায় হয়েছে। যে রায়ে বেকসুর খালাস পেয়েছেন লোকমান হোসেন ভূঁইয়া

মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব লিমিটেডের সাবেক ডিরেক্টর ইনচার্জ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সাবেক পরিচালক মো. লোকমান হোসেন ভূঁইয়াকে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলা থেকে বেকুসুর খালাস প্রদান করেছেন আদালত। গত ২৬ জানুয়ারি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত নম্বর তার বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগ এনে দুদকের করা ২০১৯ সালের মামলার রায় দিয়েছেন

জজ আদালত এই মামলার রায়ে আদেশ দিয়ে জানিয়েছেন, ‘অত্র মামলার (মামলা নং১৫২/২০১৯, দুদক.জি আর নং১৩৩/২০১৯) একমাত্র আসামী মো. লোকমান হোসেন ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আনীত দুর্নীতি দমন কমিশন আইন এর ২০০৪ এর ২৭() ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ এর () () ধারার অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় আসামীকে নির্দোষ সাব্যস্থে বেকসুর খালাস প্রদান করা হলো। আসামীর জামিনদারদেরকে জামিননামার দায় হতে অব্যাহতি দেয়া হলো। আসামীর নামীয় কোনো হিসাব বা লকার অবরুদ্ধ বা ক্রোক থাকলে বা বিদেশ গমনে কোনো নিষেধাজ্ঞা থাকলে, স্থাবর সম্পত্তির ক্রয়বিক্রয়ের ওপর কোনো নিষেধাজ্ঞা থাকলে উহা আসামীর অনুকূলে অবমুক্ত করা হোক।

বিষয়ে লোকমান হোসেন ভূঁইয়ার আইনজীবী ব্যারিস্টার মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘তার বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিংয়ের যে অভিযোগ করা হয়েছিল তার প্রমাণাদি আদালতে উপস্থাপন করতে পারেননি রাষ্ট্রপক্ষ। আমরা প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি যে, লোকমান হোসেন ভূঁইয়া কোনো মানিলন্ডারিং করেননি। ক্লাবের হলরুম যায় ভাড়া দেওয়ার অর্থ ক্লাবের হিসাবেই জমা হয়েছে এবং তার অডিটও জমা দেওয়া হয়েছে আদলতে। তাই আদালত লোকমান হোসেন ভূঁইয়ার বিপক্ষে আনীত অভিযোগ খারিজ করে দিয়ে তাকে বেকসুর খালাস প্রদান করেছেন।