নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি: জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক ও একাডেমিক ভবনগুলোতে অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র থাকলেও অধিকাংশই মেয়াদোত্তীর্ণ। দীর্ঘদিন ধরে এগুলো পরিবর্তন বা রক্ষণাবেক্ষণ না করায় নিরাপত্তা ঝুঁকিতে পড়েছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
সরেজমিনে বিভিন্ন ভবন পরিদর্শন করে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদ্রোহী হল, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদসহ বিভিন্ন একাডেমিক ও আবাসিক ভবনে থাকা অগ্নিনির্বাপক সিলিন্ডারগুলোর মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে চলতি বছরের ২ এপ্রিল। কিছু যন্ত্রে মেয়াদের তারিখ ঘষে মুছে গেছে, ফলে কার্যকারিতা নিয়ে দেখা দিয়েছে প্রশ্ন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী জুনায়েদ হাসান খান বলেন, “হলে থাকি, ক্লাস করি—কিন্তু মেয়াদোত্তীর্ণ অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র দেখে আতঙ্কে থাকি। বিপদ হলে এগুলো কাজ না করলে কী হবে?” একই ধরনের আশঙ্কা জানিয়েছেন বিদ্রোহী হলের শিক্ষার্থী মোখলেসুর রহমান।
বিশেষজ্ঞদের মতে, মেয়াদোত্তীর্ণ যন্ত্রে চাপ কমে যায়, রাসায়নিক পদার্থ কার্যকারিতা হারায়। ফলে আগুন নিয়ন্ত্রণে এগুলো অকেজো হয়ে পড়তে পারে। ময়মনসিংহ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের একজন কর্মকর্তা বলেন, “ভুল যন্ত্র বা মেয়াদোত্তীর্ণ যন্ত্র ব্যবহার করলে আগুন আরও ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি থাকে।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক ড. মো. আশরাফুল আলম বলেন, “সরকার অবকাঠামো উন্নয়নে বাজেট দিলেও রক্ষণাবেক্ষণে বরাদ্দ দেয় না। তাই চাইলেও দ্রুত যন্ত্র পরিবর্তন করা যায় না।”
প্রক্টর ড. মাহবুবুর রহমান জানান, বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে জানানো হয়েছে, খুব শিগগিরই মেয়াদোত্তীর্ণ যন্ত্রগুলো পরিবর্তন করা হবে।
এদিকে, প্রকৌশল দপ্তরের উপ-প্রধান প্রকৌশলী মো. মাহবুবুল ইসলাম জানান, ‘যেসব স্থাপনায় মেয়াদোত্তীর্ণ যন্ত্র রয়েছে, সেসব স্থাপনায় দায়িত্বরতদের কাছে চাহিদাপত্র চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। চাহিদা পেলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আরও পড়ুন
জুলাই আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা তীব্র মানসিক চাপে
এমপিও শিক্ষকদের বদলি শুরু অক্টোবরে
ইউআইইউ বন্ধ ঘোষণা করায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির উদ্বেগ