ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে আবাহনীর চ্যাম্পিয়ন হওয়াটাই যেন নিয়ম। সেই নিয়মের ব্যতিক্রম হলো না এবারও। মিরপুরে আজ অঘোষিত ফাইনালে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মোহামেডানকে ৬ উইকেটে হারিয়ে হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়ন হলো ঢাকাই ক্রিকেটের সবচেয়ে সফল দলটি। এ নিয়ে ২৪ বার চ্যাম্পিয়ন হয়ে নিজেদের রেকর্ডটাকে আরেকটু উঁচুতে ওঠাল আকাশি-নীলেরা।
টসে জিতে ফিল্ডিং নিয়ে মোহামেডানকে ২৪০ রানে বেঁধে ফেলে আবাহনী। রানটা ৪০.৪ ওভারেই পেরিয়ে যায় মোসাদ্দেক হোসেনের দল। সফল যে রান তাড়ায় সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন আবাহনী অধিনায়ক মোসাদ্দেক। ১০৮ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর উইকেটে আসা অধিনায়ক অপরাজিত ছিলেন ৭৮ রানে। ১৩৫ রানে অবিচ্ছিন্ন পঞ্চম উইকেটে জুটিতে তাঁর সঙ্গী মোহাম্মদ মিঠুন অপরাজিত ছিলেন ৬৬ রানে।
যারা জিতবে তারাই চ্যাম্পিয়ন, শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে আজ এই হিসাব সামনে রেখেই খেলতে নামে দুই দল। নিষেধাজ্ঞায় অধিনায়ক তাওহিদ হৃদয়কে হারিয়ে ফেলা মোহামেডানের শুরুটা খারাপ ছিল না। তাওফিক খানকে (১৬) ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক রনি তালুকদার ৮ ওভারেই তুলে ফেলেছিলেন। নবম ওভারের প্রথম বলে আবাহনীর পেসার মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী তাওফিককে ফেরান। ১২তম ওভারে আরেক পেসার রিপন মণ্ডলের শিকার রনি। ৪৭ বলে ৪৫ রান করে অধিনায়কের বিদায়ের পর মন্থর হয়ে যায় মোহামেডানের রান তোলার গতি।
এরপর মোহামেডানের মিডলঅর্ডারের তিন ব্যাটসম্যান ফরহাদ হোসেন (৫৬ বলে ৪২), মাহমুদউল্লাহ (৬২ বলে ৫০) ও আরিফুল ইসলাম (৫৭ বলে ৫০) রান পেলেও ঝড় তুলতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেটে ২৪০ রান করতে পারে মোহামেডান।
রান তাড়ায় চতুর্থ বলেই প্রথম উইকেট হারায় আবাহনী। শাহরিয়ার কমলকে ১ রানে ফেরান মোহামেডান পেসার ইবাদত হোসেন। এরপর ফর্মে থাকা ব্যাটসম্যান পারভেজ হোসেন জিশান আলমকে নিয়ে যোগ করেন ৫৬ রান। পারভেজ ২৮ রান করে সাইফউদ্দিনের শিকার হওয়ার পর ৭৭ রানে আবাহনী হারায় এসএম মেহরবকেও। ভালো খেলতে থাকা জিশান ৫৩ বলে ৫৫ করে আউট হন দলকে ১০৮ রানে রেখে।
আবাহনী শিবিরকে ঘিরে ধরা আশঙ্কার কালো মেঘ এরপর দারুণ ব্যাটিংয়ে সরিয়ে দেন মিঠুন ও মোসাদ্দেক। দলকে নিয়ে যান জয়ের বন্দরে।
আবাহনী লিগ শেষ করল ১৬ ম্যাচে ২৮ পয়েন্ট পেয়ে। অন্যদিকে ২৪ পয়েন্ট পেয়ে রানার্সআপ হলো মোহামেডান।
আরও পড়ুন
নুসরাত, অপু ও জায়েদসহ ১৭ নায়ক-নায়িকার নামে মামলা
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পুরোনো সম্পর্ক শেষ: মার্ক কার্নি
পেটের অস্বস্তি দূর করতে খাবারের পর খান এই ৫ জিনিস