যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে বৃহস্পতিবার সারাদেশে শুভ জন্মাষ্টমী পালন করছেন সনাতন সম্প্রদায়ের অনুসারীরা।
সনাতন ধর্মালম্বীদের বিশ্বাস, পৃথিবী থেকে অশুভ শক্তি দমন, কল্যাণ, ন্যায় ও শুভ শক্তি প্রতিষ্ঠার জন্যই ভগবান শ্রীকৃষ্ণ এই দিনে স্বর্গ থেকে পৃথিবীতে আবির্ভূত হয়েছিলেন। শ্রীকৃষ্ণের এই আবির্ভাব তিথিকে ভক্তরা শুভ জন্মাষ্টমী হিসেবে উদযাপন করে থাকেন।
পঞ্জিকা মতে, সৌর ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে যখন রোহিণী নক্ষত্রের প্রাধান্য হয়, তখন জন্মাষ্টমী পালিত হয়। উৎসবটি গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার অনুসারে, প্রতি বছর মধ্য-আগস্ট থেকে মধ্য-সেপ্টেম্বরের মধ্যে কোনো এক সময়ে পড়ে।
শুভ জন্মাষ্টমী উপলক্ষে আজ সরকারি ছুটি।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণীতে সনাতন সম্প্রদায়ের অনুসারীদের জন্মাষ্টমীর শুভেচ্ছো জানিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেন, ` শ্রী কৃষ্ণের মূল দর্শন ছিল সমাজ থেকে অন্যায়, অত্যাচার ও নিপীড়ন দূর করা এবং মানুষে মানুষে অকৃত্রিম ভালোবাসা ও সম্প্রীতির বন্ধন গড়ে তোলা।‘
তিনি বলেন, আমি হিন্দু সম্প্রদায়ের জনগণকে শ্রী কৃষ্ণের দর্শন অনুসরণ করে সমাজের অসহায় ও দুস্থ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানাই।‘
প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর।
তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি শ্রী কৃষ্ণের আদর্শ ও শিক্ষা বাঙালির হাজার বছরের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি, বন্ধুত্ব ও ভ্রাতৃত্বকে শক্তিশালী করবে।’
প্রধানমন্ত্রী হিন্দু সম্প্রদায়দের সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে জন্মাষ্টমী উদযাপন করার আহ্বান জানান।
তিনি দেশের সকল নাগরিকদের সুখ, কল্যাণ ও শান্তি কামনা করেন।
জন্মাষ্টমী উপলক্ষে জাতীয় দৈনিকে বিশেষ নিবন্ধ প্রকাশ করা হয়েছে। এছাড়াও বাংলাদেশ বেতার, বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ বেসরকারি স্যাটেলাইট চ্যানেলে শ্রীকৃষ্ণের ঘটনাবহুল জীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে বিশেষ অনুষ্ঠান সম্প্রচারিত হচ্ছে।
—ইউএনবি
আরও পড়ুন
ডেঙ্গুতে ঢাকায় আরও ৩ মৃত্যু, নতুন আক্রান্ত ৮৫৭
কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ঘোষণা
ঢাকা সেনানিবাসের একটি ভবন সাময়িক ‘কারাগার’ ঘোষণা