বগুড়া সারিয়াকান্দিতে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বিপদসীমার কাছাকাছি ছুঁই ছুঁই করছে। ফলে নদীর পার্শ্ববর্তী এলাকায় পানি প্রবেশ করে পাট ও ধৈঞ্চার খেত ক্ষতির মুখে পড়েছে। এতে ফসল নিয়ে দুশ্চিন্তায় দিন গুনছেন স্থানীয় কৃষকরা।
সারিয়াকান্দি পানি উন্নয়ন বোর্ডের গেজ রিডার পরশুরাম জানিয়েছেন, শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত যমুনা নদীতে সারিয়াকান্দির কালিতলা পয়েন্টে পানির উচ্চতা ছিল ১৬ দশমিক ৪০ সেন্টিমিটার যা বিপদসীমার ৩০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। একইভাবে বাঙালি নদীর পানির উচ্চতা ছিল ১৫ দশমিক ৬০ সেন্টিমিটার যা বিপদসীমার ২৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
জানা গেছে, গত কয়েক দিনের পানি বৃদ্ধিতে সারিয়াকান্দি উপজেলার ১১২টি চরের নিম্নাঞ্চল যমুনা নদীর পানিতে প্লাবিত হয়েছে। চরগুলোর বিস্তীর্ণ এলাকার পশুচারণভূমি এবং সবুজ ঘাস পানিতে ডুবে গেছে। ফলে ঘাসের অভাবে গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়াসহ সবধরনের গৃহপালিত পশু খাদ্যের সংকট দেখা দিয়েছে। এদিকে বন্যার আশঙ্কায় পাট কেটে জাগ দিয়ে রাখা হয়েছিল, কিন্তু সেই পাট বিভিন্ন চরাঞ্চল থেকে পানিতে ভেসে গেছে।
সারিয়াকান্দি উপজেলার চালুয়াবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম বাদশা জানান, বেশ কয়েকদিন ধরে যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। পানি বৃদ্ধির ফলে ভাঙনও দেখা দিয়েছে। তার ইউনিয়নের প্রায় অর্ধেকের বেশি পাটের ফসল পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে।
সারিয়াকান্দি পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী আব্দুর রহমান তাসকিয়া জানান, যমুনা ও বাঙালি নদীতে পানি বাড়ছে। যেভাবে পানি বাড়ছে তাতে করে ১৯ জুনের মধ্যে যমুনা এবং বাঙালি নদীতে পানি বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে। এক্ষেত্রে বন্যার আশঙ্কা রয়েছে।
সারিয়াকান্দি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল হালিম বলেন, বিভিন্ন এলাকা থেকে কৃষকের পাট এবং ধৈঞ্চাসহ কয়েকটি ফসল নিমজ্জিত হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে।
—ইউএনবি
আরও পড়ুন
দাগনভূঞায় দূর্গোৎসবের আনন্দ ছড়িয়ে দিতে দুঃস্থ সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পাশে মেজবাহ্ সাঈদ
শেরপুর ও ময়মনসিংহে আকস্মিক বন্যা, তলিয়ে গেছে ১৬৩ গ্রাম
ময়মনসিংহে মোবাইল বিস্ফোরণে চিকিৎসকের মৃত্যু