অনলাইন ডেস্ক :
প্রথমবারের মতো ব্রিটেনে তালিকাভুক্ত ৩৫০টি বড় কোম্পানির বোর্ডে নারীদের অংশগ্রহণ ৪০ শতাংশে পৌঁছেছে। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে এফটিএসই (ফিনান্সিয়াল টাইমস স্টক এক্সচেঞ্জ) এর উইমেন লিডার্স রিভিউ ৩৫০ শীর্ষ কোম্পানিকে ২০২৫ সালের মধ্যে তাদের বোর্ডে ও নেতৃত্বে নারীদের সংখ্যা ৪০ শতাংশ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করে দেয়। সময়সীমার তিন বছর পূর্বে, অর্থাৎ ২০২২ সালেই এই লক্ষ্য অর্জিত হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ৩৫০টি কোম্পানির বোর্ডে নারীর উপস্থিতির হার ২০২২ সালে প্রায় ৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৪০ শতাংশে পৌঁছায়। নারীদের সংখ্যা অধিক হারে বৃদ্ধির ফলে ২০২৩ সালের ১১ জানুয়ারিতে নারীদের অনুপাত দাঁড়ায় ৪০ দশমিক ২ শতাংশে। অন্যদিকে, শীর্ষ ১০০ কোম্পানির বোর্ডে ৪০ দশমিক ৫ শতাংশ নারী অধিষ্ঠিত হয়েছেন, ২০২১ সালে যা ছিল ৩৯ দশমিক ১ শতাংশ। বাণিজ্য সচিব ও নারী সমতা বিষয়ক মন্ত্রী কেমি বাদেনস বলেছেন, ‘এই অগ্রগতিকে স্বাগত জানাই। ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্বের পদে এবং বোর্ড রুমে আরও ভারসাম্য আনার জন্য এই ধারা বজায় রাখার আহ্বান জানাচ্ছি।’ নারীদের অন্তর্ভুক্ত করে বোর্ডে বৈচিত্র্য আনা অনেক কোম্পানির নীতিনির্ধারক ও বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি মনোযোগের বিষয় হয়ে ওঠে। তাদের মতে, নানা ধরনের অভিজ্ঞতার সংমিশ্রণ ঘটলে সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও কর্পোরেট সংস্কৃতি উন্নতিতে সহায়ক ভূমিকা রাখে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফ্রান্স বা বেলজিয়ামের মতো ব্রিটেনে তালিকাভুক্ত সংস্থাগুলোর বোর্ডে নারীদের জন্য বাধ্যতামূলক কোটা ব্যবস্থা নেই। যুক্তরাজ্যে নারীদের এই অগ্রগতি তাই আরো উল্লেখযোগ্য ও চকমপ্রদ। এক দশক পূর্বেও ৩৫০টি কোম্পানির মধ্যে ১৫২টির বোর্ডে কোনো নারী ছিলেন না। এখন প্রত্যেক কোম্পানিতে নারী আছেন, এমনকি অধিকাংশতেই তিন বা তার অধিক নারী রয়েছেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। তবে বোর্ডে নারীদের সংখ্যা বাড়লেও নির্বাহী পর্যায়ে নারীদের হার এখনো নগণ্যই রয়ে গেছে।
আরও পড়ুন
উড়োজাহাজ বিধ্বস্তে ৩৮ জনের মৃত্যু, আজারবাইজানে রাষ্ট্রীয় শোক পালন
বিশ্বে ক্ষুধার্ত মানুষ বাড়ছে, কমছে ধনী দেশের সাহায্য
পাকিস্তান থেকে সরাসরি আসছে জাহাজ, আমদানি বেড়েছে ২১ শতাংশ