February 28, 2025

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Thursday, February 27th, 2025, 2:43 pm

যুক্তরাজ্যে প্রতিবছর ৭ হাজার ৬০০ প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে সুপারবাগ

অনলাইন ডেস্ক:
অত্যন্ত শক্তিশালী জীবাণু সুপারবাগের সংক্রমণে যুক্তরাজ্যে প্রতিবছর প্রাণ খোয়াচ্ছেন অন্তত ৭ হাজার ৬০০ জন। বুধবার একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে দেশটির সরকারি স্বাস্থ্যসেবা সংস্থা ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস (এনএইচএস), সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে এ তথ্য। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, সুপারবাগের সংক্রমণের জেরে মৃত্যু ঠেকানোর ক্ষেত্রে সরকারের অগ্রগতি ‘বেশ ক্ষীণ’।

‘সুপারবাগ’ বলতে সেই ধরনের ব্যাকটেরিয়া বা অন্যান্য আণুবিক্ষণিক জীবাণুকে বোঝানো হয়, যেগুলো সাধারণ ওষুধ তো বটেই, এমনকি অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধও সহ্য করতে পারে। বাজারে সহজলভ্য সবচেয়ে শক্তিশালী অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধও এসব জীবাণুর ক্ষেত্রে কাজ করে না। বিজ্ঞানীদের মতে, বছরের পর বছর ধরে মানুষের অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধের ওপর অতিমাত্রায় নির্ভরশীলতাই সুপারবাগের মতো শক্তিশালী জীবাণু সৃষ্টি করেছে।

বিশ্বের সবচেয়ে পুরোনো এবং শীর্ষস্থানীয় চিকিৎসা সাময়িকী ল্যানসেট গতবছর একটি প্রবন্ধ প্রকাশ করেছিল। সেই প্রবন্ধে বলা হয়েছিল যে বর্তমানে প্রতি বছর সুপারবাগের সংক্রমণে বিশ্বজুড়ে প্রাণ হারান ১০ লাখেরও বেশি মানুষ এবং প্রতিবছরই যে হারে মৃত্যুহার বাড়ছে, তাতে ২০৫০ সালে এই সংখ্যা উন্নীত হবে ১৯ লাখে।

জাতিসংঘের বৈশ্বিক স্বাস্থ্য নিরাপত্তা বিষয়ক অঙ্গসংগঠন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা পৃথক এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ২০২১ সালে বিশ্বে সুপারবাগের সংক্রমণের জেরে মৃত্যু হয়েছে ৫৮ লাখ মানুষের। এর মধ্যে ১১ লাখের মৃত্যুর একমাত্র কারণ সুপারবাগ এবং বাকি ৪৭ লাখ সুপারবাগের সংক্রণও ও অন্যান্য শারীরিক জটিলতার কারণে মারা গেছেন।
এনএইচএসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৮ সালে সুপারবাগ সংক্রমণের জেরে মৃত্যু ১০ শতাংশ হ্রাসের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছিল সরকার; কিন্তু তার পরবর্তী বছরগুলোতে মৃত্যুর হার তো কমেই নি, উপরন্তু ২০১৮ সালের তুলনায় বর্তমানে মৃত্যুহার বেড়েছে ১৩ শতাংশ।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, “সুপারবাগের সংক্রমণজনিত মৃত্যু ঠেকাতে প্রয়োজনীয় অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধার অভাব রয়েছে এনএইচএসের অন্তর্ভুক্ত অনেক হাসপাতালে। সরকার যদি এসব অবকাঠামোকগত সমস্যাগুলো দূর করতে মনযোগী হয়, তাহলে আশা করা যায় যে সামনের বছরগুলোতে এ সংক্রান্ত মৃত্যু প্রতিরোধে উল্লেখযোগ্য সাফল্য আসবে।” সূত্র : গালফ নিউজ