রংপুর প্রতিনিধি:
সিরাক-বাংলাদেশ ও ডেমোক্রেসিওয়াচ-এর যৌথ উদ্যোগে এবং ব্রিটিশ কাউন্সিল-এর অর্থায়নে ইয়ুথ কানেক্ট: ইয়ুথ গ্রীন এন্টারপ্রেনারশিপ ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পের অবহিতকরণ সভা সোমবার এনজিও ফোরাম ফর পাবলিক হেল্থ ট্রেনিং সেন্টারের হল রুমে অনুষ্ঠিত হয়।
প্রকল্পের আওতায় ১৮-৩৫ বছর বয়সী যুবদের দক্ষতা বৃদ্ধি মাধ্যমে সবুজ উদ্যোগে সম্পৃক্ত করে টেকসই উন্নয়নকে উৎসাহিত করা। পাশাপাশি স্থানীয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বিশেষজ্ঞ এবং নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধানে কার্যক্রম পরিচালনা করেছে।
সভায় রংপুর সদর উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মহাম্মদ কায়সার আলীর সভাপতিত্বে ও সিরাক-বাংলাদেশ এর উপ-পরিচালক (ফাইনান্স এন্ড এডমিন) মোঃ ইমরান হোসেনের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গঙ্গাচড়া উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা জনাব মাহমুদুর রহমান, বদরগঞ্জ উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা জনাব আবুল কালাম আজাদ, গঙ্গাচড়া উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মৌসুমি আক্তার, বিসিক পরিচালক রাশিদুস সুলতান বাবুল, চেম্বার অব কর্মাস এর মোঃ তানভীর নবী, সদর উপজেলা সহকারী সমাজসেবা কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ আল মামুদ, ডিরেক্টর প্রোগ্রাম ডেমোক্রেসিওয়াচ ফিরোজ নূরুন নবী যুগল। আরো উপস্থিত ছিলেন প্রমোশন কর্মকর্তা-০২ মো; সাইফুল্লাহ আল, উইমেন চেম্বার অব কর্মাস এর ফরিদাসহ যুব কাউন্সিলরগণ, বিভিন্ন উদ্যোক্তাগণ, যুব ইয়ুথ ও সামাজিক উন্নয়ন সংগঠনের ব্যক্তিবর্গ, ডেমোক্রেসিওয়াচের প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর জনাব রাখি গোপাল দেবনাথ, সিরাক-বাংলাদেশ এর প্রোগ্রাম অফিসার শাপলা আক্তার।
সভাপতি বক্তব্যে মহাম্মদ কায়সার আলী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় সবুজ প্রযুক্তি, নবায়নযোগ্য শক্তি, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি ক্ষেত্রে উদ্ভাবনী ধারণাকে কাজে লাগানো জরুরি। সবুজ উদ্যোক্তা হওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই আমাদের কে পরিবেশ ও প্রকৃতির দিকে বিশেষ সুনজর দিতে হবে যাতে করে আমাদের সবুজ উদ্যোগের কার্যক্রমের মাধ্যমে প্রাণ ও প্রকৃতির উপর বিরুপ প্রভাব না ফেলে। সিরাক-বাংলাদেশ এর প্রোগ্রাম অফিসার শাপলা আক্তার তার প্রেজেন্টেশন উপস্থাপনার মাধ্যমে ব্যক্ত করেন, বাংলাদেশে যুবদের জন্য চাকরির সুযোগ সীমিত অন্যদিকে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব বাড়ছে। বেকারত্ব দূরীকরণ এবং পরিবেশ সুরক্ষার মাধ্যম একটি টেকসই পথ সৃষ্টির মাধ্যমে আমাদের পূথিবীকে বাসযোগ্য করতে হবে। তার জন্য যুবদের মনের মধ্যে উদ্যোক্তা (অনত্রপ্রেনার) সৃষ্টি করে, তাদের শুধু চাকরি খোঁজা নয় বরং নিজেরা সবুজ ব্যবসা (গ্রীন বিসনেস) গড়ে তোলার জন্য উদ্ভুদ্ধ ও প্রশিক্ষিত করে তোলতে হবে।
বক্তারা উন্মুক্ত আলোচনায় বলেন, প্রযুক্তিগত জ্ঞান, এবং বাজার বিশ্লেষণের দক্ষতা উদ্যোক্তাদের সৃজনশীলতা বাড়িয়ে তোলবে, যা তাদের জীবনব্যাপী সফল হতে সাহায্য করে। অবহিতকরণ সভায় প্রকল্পের গুরুত্ব এবং উদ্দেশ্য সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয় এবং কার্যক্রম আরো ফলপ্রসূভাবে পরিচালনার জন্য যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা, সমাজসেবা কর্মকর্তা, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ও বিভিন্ন পর্যায়ের অংশীজনদের পরামর্শ গ্রহণ করা হয়। সভায় অংশগ্রহণকারীরা প্রকল্পের সার্বিক সফলতা এবং সবুজ উদ্যোক্তা তৈরির ক্ষেত্রে একসঙ্গে কাজ করার উপর গুরুত্বারোপ করেন। ইয়ুথ কানেক্ট, ইয়ুথ গ্রীন এন্টারপ্রেনারশিপ ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পটি বাংলাদেশের যুবশক্তিকে সম্পদে পরিণত করবে, একটি সবুজ-সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ নির্মাণের পথ তৈরি করবে। এটি শুধু আজকের প্রয়োজন নয়, ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য একটি বাসযোগ্য পৃথিবী গড়ারও অঙ্গীকার।
আরও পড়ুন
কুলাউড়ায় কোটি টাকা মূল্যের জাল টাকা, নকল পিস্তলসহ গ্রেপ্তার -১
সখীপুরে শ্রমিক দল নেতার বিরুদ্ধে শিশুশিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ, দল থেকে বহিষ্কার
রংপুরে জামায়াতে ইসলামী’র ১০ কিলোমিটারব্যাপী মানববন্ধন