রংপুর ব্যুরো:
পথচারীর নিরাপদ চলাচল ও যানজট নিরসনে রংপুর সিটি কর্পোরেশন প্রায় চার কোটি টাকা ব্যয়ে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ দুটি স্থানে ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ করলেও সেগুলো ব্যবহার করছে না নগরবাসী। বরং ব্রিজের নিচে অবৈধ দোকানপাট ও উন্মুক্ত ডিভাইডারের কারণে যানজট ও দুর্ঘটনা আরও বেড়েছে।
সিটি কর্পোরেশনের প্রকৌশল বিভাগ জানিয়েছে, কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল সড়ক ও সিটি কর্পোরেশন ভবনের সামনে অত্যাধুনিক দুটি ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে। তবে সঠিক স্থান নির্ধারণ ও নাগরিক সচেতনতার অভাব, দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা এবং ফুটওভার ব্রিজের নিচে দোকান বসায় সেগুলোর কার্যকারিতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়েছে।
স্থানীয়রা বলছেন, ব্রিজগুলো ব্যবহারে বাধ্যবাধকতা না থাকায় বেশিরভাগ মানুষ এখনো রাস্তা দিয়েই ঝুঁকি নিয়ে পার হচ্ছে। কোনো ধরনের ফেন্সিং বা নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকায় দুর্ঘটনার আশঙ্কাও থেকেই যাচ্ছে। অনেকে দাবি করছেন, ব্রিজগুলো সঠিক স্থানে ও সুচিন্তিত পরিকল্পনায় নির্মিত হলে ব্যবহারের হার বাড়তো।
সিটি বাজারে বাজার করতে আসা হাসান আলী বলেন, “ব্রিজটি কাজে আসছে না কারণ এটি যথাস্থানে নির্মিত হয়নি। কেউ ব্যবহারও করছে না।” অনেক শিক্ষার্থী ব্রিজে উঠে সেলফি তুললেও পারাপারের জন্য তা ব্যবহার করছে না বলেও জানান তিনি।
গণমাধ্যমকর্মী জালাল উদ্দিন বলেন, “টার্মিনালে বাসশ্রমিকরা ব্রিজের নিচে যাত্রী ওঠানামা করায় ব্রিজের কার্যকারিতা হারিয়েছে। ট্রাফিক পুলিশও এই বিষয়ে নির্বিকার।”
কারমাইকেল কলেজের শিক্ষক আব্দুর রউফ সরকার বলেন, “শুধু ব্রিজ নির্মাণ করলেই হবে না, এগুলো ব্যবহারের উপযোগী করাও জরুরি। সচেতনতা ও ট্রাফিক ব্যবস্থার উন্নয়ন ছাড়া সুফল মিলবে না।”
রংপুর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে ফাতেমা জানান, “মানুষের নিরাপদ পারাপারের লক্ষ্যেই ব্রিজগুলো নির্মাণ করা হয়েছে। সচেতনতায় জোর দেয়া হবে।”
নগরবাসীর মত, এখনই পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তন না এলে এসব ফুটওভার ব্রিজ হয়ত শুধু সৌন্দর্যের স্থাপনায় পরিণত হবে, যার পেছনে ব্যয় হয়েছে কোটি টাকা জনগণের অর্থ।
আরও পড়ুন
স্বামীর জন্য স্ত্রী’র কিডনি দান, ছাত্রদল নেতার উদ্যোগে ২০ লাখ টাকার সহায়তা
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহালে সব দল একমত : আলী রীয়াজ
ভুয়া তথ্য রোধে জাতিসংঘকে ভূমিকা রাখার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার