April 10, 2025

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Monday, April 7th, 2025, 11:59 am

রংপুরে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে একজন নিহত সাংবাদিকসহ আহত ২০

রংপুর ব্যুরো: রংপুরে বদরগঞ্জ উপজেলায় বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে একজন নিহত সাংবাদিকসহ ২০ জন আহত হয়েছেন।  শনিবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার শহীদ মিনারের সামনে এ ঘটনা ঘটে।বিকেলে লাবলু মিয়া (৪৫)রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।

এ সময় জেলা বিএনপির সদস্য ও সাবেক এমপি মোহাম্মদ আলী সরকারের সমর্থক মোন্নাফ (৬০), কাঁচাবাড়ি এলাকার মিতু মিয়া (৪০) একই এলাকার মৃত আফসার আলী ছেলে শফিকুল (৫৫), মধুপুর কালজানি এলাকার লাবলু মিয়া (৪৫) কাঁচা বাড়ির রুহুল আমিনের ছেলে জয়নাল (২৫), মৃত মোহাম্মদ আলী ছেলে মুন্না ও মংলু গুরুতর আহত হলে তাদের উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এ ঘটনার ছবি তুলতে গেলে গ্লোবাল টেলিভিশনের রংপুর জেলা প্রতিনিধি নুরুন্নবী নুরু, মাছরাঙ্গা টেলিভিশনের স্টাফ রিপোর্টার ফুয়াদ হোসেন বাংলাভিশনের ক্যামেরা ভার্সন সাইফুল ইসলাম মুকুলসহ স্থানীয় কয়েকজন সাংবাদিকের উপর হামলা চালিয়ে ক্যামেরাও মোবাইল ফোন কেড়ে নেন মোহাম্মদ আলী সরকারের সমর্থকরা।

এ বিষয়ে বিএনপি নেতা সাবেক এমপি মোহাম্মদ আলী সরকারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, কে বা কারা কার দোকানে হামলা ভাঙচুর করেছে এই বিষয় নিয়ে মানিক চেয়ারম্যানের লোকজন ফেসবুকে আমাকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ স্ট্যাটাস ও বক্তব্য দিয়ে আমার সুনাম ক্ষুন্ন করার চেষ্টা করছেন। এর প্রতিবাদ করতে গেলে মানিক চেয়ারম্যানের লোকজন হামলা চালিয়ে আমার লোকজনকে আহত করে হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
তবে এ বিষয়ে বদরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ও কালুপাড়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শহিদুল হক মানিক জানান, গত পরশুদিন বিনা কারণে বদরগঞ্জের প্রতিষ্ঠাতা ব্যবসায়ী জাইদুল হকের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে মোহাম্মদ আলী সরকারের লোকজন হামলা ও লুটপাট চালিয়ে ভাঙচুর করেন। ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি সরোয়ার জাহানসহ আমরা বাধা দিতে গেলে মোহাম্মদ আলীর লোকজন আমাদের উপর হামলা চালায়। ব্যবসায়ীর দোকান ভাঙচুর ও হামলার প্রতিবাদে আজকে সকল ব্যবসায়ী মিলে মানববন্ধন আয়োজন করি এ সময় মোহাম্মদ আলী সরকারের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ব্যবসায়ীদের উপর হামলা চালায় এ ঘটনায় আমাদের ১০ থেকে ১২ জন আহত হয়েছে।

এ বিষয়ে বদরগঞ্জ পৌর বিএনপির সদস্য সচিব কমল লোহারি জানান, এটা দলীয় কোনো দ্বন্দ্ব নয়। মোহাম্মদ আলী সরকার ও মানিক চেয়ারম্যান তারা পূর্বে থেকেই বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়তেন। তারই প্রতিফলন আজকের এই সংঘর্ষ। আমরা চাই না বদরগঞ্জে এরকম কোনো ঘটনা ঘটুক। আজ তাদের কারণে বদরগঞ্জবাসী আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। বদরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ একেএম আতিক জানান, বদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সেনাবাহিনীর সদস্যদের নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনার জন্য আমরা মাঠেই রয়েছি।

এদিকে সংঘর্ষের পর বিএনপির ওই দুই নেতাসহ বদরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক হুমায়ুন কবীর মানিককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন রংপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম ও সদস্যসচিব আনিছুর রহমান লাকু। দখলদারত্ব ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতিসহ দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে তাদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সশরীরে উপস্থিত হয়ে লিখিত জবাব দিতে বলা হয়েছে তাদের।
এ বিষয়ে যৌথ বাহিনীর ক্যাপ্টেন মেহেদী জানান, বদরগঞ্জ থানার সাথে যোগাযোগ করে সেনাবাহিনীর মাধ্যমে ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থল নিয়ন্ত্রণে নিয়েছি। আশা করি আর কোনো ঘটনা ঘটবে না।