রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দীর্ঘ ৩৫ বছর পর অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। মোট ২৮ হাজার ৯০১ জন ভোটারের মধ্যে ভোট দিয়েছেন ২০ হাজার ১৮৭ জন। এতে গড় ভোটার উপস্থিতি ছিল ৬৯ দশমিক ৮৩ শতাংশ।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) ভোটগ্রহণ শেষে প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক ড. সেতাউর রহমান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে সার্বিকভাবে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ছিল উৎসবমুখর। সর্বোচ্চ ভোট পড়েছে সৈয়দ আমের আলী হলে, সেখানে উপস্থিতি ছিল ৭৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ। আর সর্বনিম্ন ভোট পড়েছে রোকেয়া হলে, ৫৯ দশমিক ৬০ শতাংশ।’
হলে হলে ভোটের চিত্র
সৈয়দ আমের আলী হলে ১২৩৩ ভোটারের মধ্যে ভোট পড়েছে ৯৫৯টি, শাহ মখদুম হলে ভোট পড়েছে ৭৭ দশমিক ৭১ শতাংশ (১৪০৯ ভোটারের মধ্যে ১০৯৫), হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলে ৭৭ দশমিক ৬০ শতাংশ (১৮৬২ ভোটারের মধ্যে ১৪৪৫), শেরে বাঙলা ফজলুল হক হলে ৭৩ দশমিক ৯২ শতাংশ (৯৯৪ ভোটারের মধ্যে ৭৩৪), নওয়াব আবদুল লতিফ হলে ৬৯ দশমিক ৭৮ শতাংশ (১১৩০ ভোটারের মধ্যে ৭৭০), শহীদ শামসুজ্জোহা হলে ৭৬ দশমিক ৫৩ শতাংশ (১৩০৪ ভোটারের মধ্যে ৯৯২), শহীদ হাবিবুর রহমান হলে ৭১ দশমিক ৫৫ শতাংশ (২৪৪৬ ভোটারের মধ্যে ১৭৫০)।
ছাত্রীদের হলে ভোটের হার কিছুটা কম ছিল। রোকেয়া হলে ৫৯ দশমিক ৬০ শতাংশ, রহামাতুন্নেছা হলে ৬০ দশমিক ৭০ শতাংশ, বেগম খালেদা জিয়া হলে ৬১ দশমিক ৪৯ শতাংশ, মুন্নুজান হলে ৬৭ দশমিক ১১ শতাংশ, তাপসী রাবেয়া হলে ৬৩ দশমিক ৬৬ শতাংশ এবং জুলাই ৩৬ হলে ৬৬ দশমিক ৮৭ শতাংশ ভোট পড়েছে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক এফ নজরুল ইসলাম বলেন, ‘এটা শিক্ষার্থীদের নির্বাচন, আর তাদের ভাষ্যমতে এটি ছিল এক অসাধারণ নির্বাচন। সব শিক্ষার্থী উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দিয়েছেন। পর্যবেক্ষক কমিটি জানিয়েছে, এটি ছিল তাদের দেখা অন্যতম সেরা নির্বাচন।’
নির্বাচন কমিশনার প্রফেসর মোস্তফা কামাল আকন্দ বলেন, ‘ছোটখাটো কিছু ত্রুটি ছাড়া ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ অবাধ ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে। আমরা আগে মেয়েদের হলগুলোর ফলাফল ঘোষণা করব, এরপর ছেলেদের, সর্বশেষে রাকসুর ফলাফল প্রকাশ করা হবে।’
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ভোট গণনা চলছিল।
এনএনবাংলা/
আরও পড়ুন
প্রায় অর্ধেক পরীক্ষার্থীই এবার উচ্চমাধ্যমিকে অকৃতকার্য!
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দুর্বল, পেছনে কোনো লোক নেই: মির্জা ফখরুল
এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যানসহ ৩৪ জনের বিরুদ্ধে দুদকের চার্জশিট