আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর এম এইচ তামিম জানিয়েছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মামলার রায়ের তারিখ ঘোষণা নিয়ে কোনো সংশয় নেই। তিনি বলেন, “রাজনীতিতে যা–ই ঘটুক না কেন, আগামী ১৩ নভেম্বর রায়ের তারিখ ঘোষণা বিষয়ে কোনো উদ্বেগ নেই।”
রবিবার (৯ নভেম্বর) দুপুরে ট্রাইব্যুনালে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রসিকিউটর তামিম আরও জানান, ১৩ নভেম্বর রায় ঘোষণা করা হবে না, বরং ওই দিন রায় ঘোষণার তারিখ নির্ধারণ করা হবে। জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ কয়েকজন আসামির বিরুদ্ধে রায় ঘোষণার তারিখ নির্ধারণের জন্যই ওই দিনটি ঠিক করে রেখেছে ট্রাইব্যুনাল।
এদিকে, জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে রাজধানীর চানখাঁরপুলে ৬ জনকে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ আটজনের বিরুদ্ধে ১৪তম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। আগামী ১২ নভেম্বর পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করা হয়েছে।
ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারপতি গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেলে এ সাক্ষ্যগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। আজ সাক্ষ্য দেন বিশেষ তদন্ত কর্মকর্তা তানভীর হাসান জোহাসহ আরও দুইজন।
এর আগে, ২ নভেম্বর ১৩তম দিনে সিআইডির দুই ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ—পুলিশ পরিদর্শক রোকনুজ্জামান ও উপপরিদর্শক শাহেদ জোবায়ের লরেন্স—সাক্ষ্য দেন। তারা মামলায় উদ্ধার করা আলামতের যাচাই-বাছাইয়ের বিবরণ তুলে ধরেন। পরে তাদের জেরা করেন পলাতক চার আসামির রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী ও গ্রেপ্তার আসামিদের পক্ষে উপস্থিত আইনজীবীরা।
এ মামলায় এখন পর্যন্ত মোট ২২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। সকালে আট আসামির মধ্যে গ্রেপ্তার চারজনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।
এনএনবাংলা/

আরও পড়ুন
দুদকের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় অংকের অর্থ আত্মসাতের মামলায় এস আলমসহ ৬৭ জন
ডেঙ্গু কেড়ে নিলো আরও ৬ প্রাণ, একদিনে আক্রান্ত ১,১৯৫
নন-এমপিও শিক্ষকদের মন্ত্রণালয় ঘেরাও কর্মসূচিতে পুলিশের লাঠিচার্জ, জলকামান ও সাউন্ড গ্রেনেড