জেলা প্রতিনিধি:
ক্রমেই অবনতি হচ্ছে রাজবাড়ীর বন্যা পরিস্থিতির। ফলে প্রতিদিন প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। নিম্নাঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকা তলিয়ে যাওয়ায় দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ খাবার পানিসহ গোখাদ্যের সংকট। এ ছাড়া চলাচলসহ নানা সমস্যা দেখা দিয়েছে দুর্গত এলাকায়। ফলে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে পানিবন্দিদের। এদিকে নিম্নাঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকা তলিয়ে যাওয়ায় কয়েকশো হেক্টর ফসলি জমির ক্ষতি হয়েছে এবং ভাঙন আতঙ্ক বাড়ছে পদ্মাপাড়ের বাসিন্দাদের মধ্যে। গত ২৪ ঘণ্টায় গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া পয়েন্টে ৮ সেন্টিমিটার বেড়ে ৬৯, পাংশার সেনগ্রামে ৮ সেন্টিমিটার বেড়ে ৫৮ ও রাজবাড়ী সদরের মহেন্দ্রপুরে বিপৎসীমার ১৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে পদ্মার পানি। শুক্রবার (৩রা সেপ্টেম্বর) সকালে পানি উন্নয়ন বোর্ডের গেজ লিডার সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। রাজবাড়ী সদর, পাংশা, কালুখালী ও গোয়ালন্দের নদী তীরবর্তী ১৩টি ইউনিয়নের ৬৭ গ্রামের নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চলের প্রায় আট হাজার পরিবার দীর্ঘদিন পানিবন্দি হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। এদিকে জেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী জেলায় সাড়ে সাত হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। তালিকা অনুযায়ী তাদের চাল, ডাল, তেল, লবণ, স্যালাইন, মুড়ি, মোমবাতি দেওয়া হচ্ছে। তবে এখনো অনেক পরিবার কোনো সহযোগিতা পায়নি বলে অভিযোগ করেছেন। জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, পানিবন্দিদের সহায়তায় এখন পর্যন্ত জেলায় ২১৩ মেট্রিকটন চাল ও ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। জেলার ১৩টি ইউনিয়নের ৬৭টি গ্রামের সাত হাজার ৫১৫টি পানিবন্দি পরিবারের তালিকা রয়েছে।
আরও পড়ুন
শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ জামায়াতে ইসলামী
রংপুরে সাংবাদিকতা বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত
শীতের রাতে কম্বল নিয়ে শীতার্তদের পাশে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন