দীর্ঘ ৩৫ বছর পর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচন। রাত পোহালেই শুরু হবে ভোটগ্রহণ। নির্বাচনের আগের রাতে পুরো ক্যাম্পাসে এখন উৎসবের আমেজ।
বুধবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন মার্কেট এলাকায় শিক্ষার্থীদের ভিড়ে মুখরিত হয়ে ওঠে ক্যাম্পাস। দল-মত নির্বিশেষে শিক্ষার্থীরা মেতে ওঠেন গান-বাজনা ও মেহেদি উৎসবে।
সকালে ক্যাম্পাস ছিল ফাঁকা, তবে বিকেল গড়াতেই শিক্ষার্থীদের আনাগোনা বাড়তে থাকে। সন্ধ্যার পর পরিবহন মার্কেট এলাকায় আয়োজন হয় নানা বিনোদনমূলক অনুষ্ঠানের। গান, তবলা, গিটার ও ঢোলের তালে তরুণ-তরুণীরা মেতে ওঠেন আনন্দে। নারী শিক্ষার্থীরা অংশ নেন মেহেদি উৎসবে।
আজ ১৬ অক্টোবর সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত রাকসু, হল সংসদ ও সিনেট ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। রাকসুর ২৩টি পদে ২৪৭ জন প্রার্থী এবং সিনেট ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনের ৫টি পদে ৫৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এর মধ্যে সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে ১৮ জন, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ১৩ জন এবং সহকারী সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে ১৬ জন লড়ছেন।
এবারের নির্বাচনে মোট ১১টি প্যানেল অংশ নিচ্ছে। এর মধ্যে আলোচিত আটটি প্যানেল হলো— ছাত্রদল মনোনীত ‘ঐক্যবদ্ধ নতুন প্রজন্ম’, ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট’, ছাত্র অধিকার পরিষদ ও ছাত্র ফেডারেশনের নেতৃত্বে গঠিত ‘রাকসু ফর র্যাডিক্যাল চেঞ্জ’, সাবেক সমন্বয়কদের নেতৃত্বে ‘আধিপত্যবাদবিরোধী ঐক্য’, বাম জোটের ‘গণতান্ত্রিক শিক্ষার্থী পর্ষদ’, ছাত্র ইউনিয়ন (একাংশ) ঘোষিত ‘অপরাজেয় ৭১, অপ্রতিরোধ্য ২৪’, সাবেক নারী সমন্বয়কের নেতৃত্বে ‘সর্বজনীন শিক্ষার্থী সংসদ’, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন মনোনীত ‘সচেতন শিক্ষার্থী পরিষদ’।
দীর্ঘ প্রতীক্ষিত এই নির্বাচন ঘিরে শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশা— রাকসু আবারও হবে শিক্ষার্থীদের প্রকৃত অধিকার আদায়ের প্ল্যাটফর্ম।
এনএনবাংলা/
আরও পড়ুন
মধ্যরাতে হাসপাতালে ভর্তি খালেদা জিয়া
তহবিল সংকটে কঙ্গো থেকে ফিরছে বাংলাদেশ পুলিশের শান্তিরক্ষা কন্টিনজেন্ট
আগামী ফেব্রুয়ারিতেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে: প্রধান উপদেষ্টা