মোঃ আবু রায়হান, শেরপুর (ঝিনাইগাতী) :
রাশি রাশি গোলাপি রঙের পদ্মফুলে ছেয়ে গেছে শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার বৈশাবিল। চারিদিকে শুধু পদ্মফুল আর পদ্মফুল। বিলকে দূর থেকে দেখলে মনে হবে বিলটি যেনো পদ্মবিল। আর এই অপরুপ সৌন্দর্য দেখতে দূর দূরান্ত থেকে ছুটে আসছেন দর্শনার্থীরা।
জানা যায়, শেরপুর শহর থেকে মাত্র ১৪ কিলোমিটার দূরে শ্রীবরদী উপজেলার বৈশাবিল। গত কয়েক বছর ধরে অল্প অল্প করে এ বিলে ফোটে পদ্ম। কিন্তু এবারই প্রথম পুরো বিল জুড়ে ফুটেছে গোলাপি রঙের অসংখ্য পদ্মফুল। দূর থেকে দেখলে মনে হবে যেন বিলটি পদ্মবিল।
স্থানীয়দের মতে, পদ্মফুল সারা বছর থাকে না, শুধু বর্ষাকালেই দেখা যায় এ ফুল। কিন্তু বর্তমানে বিল ও জলাশয় ভরাট হয়ে যাওয়ায় খুব একটা দেখা মেলে না ফুলের। তবে এবারই প্রথম বিল জুড়ে তৈরি হয়েছে পদ্মের বাহার। বিলের পানিতে ছোট শিশুদের পদ্ম ও শাপলা তুলতে দেখা যায়। এমন ফুলের সমারোহ তাদের আনন্দও বাড়িয়ে দিয়েছে কয়েকগুণ।
পরিবেশবাদী সংগঠন সবুজ আন্দোলন-এর ময়মনসিংহ বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা আহবায়ক মোঃ মেরাজ উদ্দিন বলেন, ‘একটা সময় শেরপুরের বিভিন্ন নদী-নালা, খাল-বিলে পদ্ম ফুল দেখা যেত। কিন্তু কালের বিবর্তনে সব বিল ও জলাশয় ভরাটের ফলে পদ্ম ফুল এখন খুব একটা দেখা যায় না। বৈশা বিলের পদ্মফুল যে কারোর মন ছুঁয়ে দিবে। ফুটে থাকা ফুল শুধু বিল নয়, সৌন্দর্য বাড়িয়ে তুলেছে প্রকৃতির। সংশ্লিষ্ট বিভাগের প্রতি দাবি জানাচ্ছি, বিলটিকে যথাযথ সংরক্ষণ এবং আরো চিত্তাকর্ষক করে তুলতে বিশেষ পরিকল্পনা গ্রহণ করার।
শেরপুর কৃষি বিভাগের জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা সুলতান আহম্মেদ জানান, এই ফুলে ঔষধি গুণাগুণ আছে, তাই পানির উৎস ঠিক রেখে বিলগুলো সংরক্ষণ করা জরুরি। একটা সময় শেপুরের বিভিন্ন নদী-নালা, খাল-বিলে পদ্মফুল দেখা যেত। কিন্তু কালের বিবর্তনে প্রায় অধিকাংশ বিল ও জলাশয় ভরাট ও বে-দখলের ফলে পদ্মফুল এখন খুব একটা দেখা যায় না। অনেকেই বলছে এটি এখন বিলুপ্তির পথে। তাই এসব খাল-বিল রক্ষা করার জোর দাবি প্রকৃতিপ্রেমীদের।
আরও পড়ুন
রংপুরে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন মহানগর ও জেলা শাখার দ্বিবার্ষিক সম্মেলন
র্যাব রংপুরে ৩৫১.৩৮ গ্রাম হেরোইন সহ স্বামী-স্ত্রী আটক করেছে
দুর্নীতির ফাইল নষ্ট করতেই সচিবালয়ে আগুন: রংপুরে রিজভী