অনলাইন ডেস্ক :
রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় হাইকোর্টে জামিন পেয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও রাজশাহীর সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিনুসহ চার নেতা। একই সঙ্গে ২৬ সেপ্টেম্বরের পর তাদের বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছে। জামিন সংক্রান্ত আবেদনের শুনানি নিয়ে বুধবার (২৫ আগষ্ট) বিচারপতি হাবিবুল গণি ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দীন খানের ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। জামিন পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন- বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিনু, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, রাজশাহী মহানগর বিএনপির সভাপতি মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল ও নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শফিকুল হক মিলন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। আদালতে বিএনপি নেতাকর্মীদের পক্ষে শুনানি করেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ও সুপ্রিমকোর্ট বারের সাবেক সভাপতি এজে মোহাম্মদ আলী। সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল ও সাবেক সম্পাদক ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন। এর আগে ৯ মার্চ বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে অশোভন বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে মিজানুর রহমান মিনুসহ বিএনপির চার নেতার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার আবেদন করেন রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. মুসাব্বিরুল ইসলাম। মামলায় সাক্ষী হিসেবে আছেন নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার, সহ-সভাপতি মো. আহসানুল হক পিন্টু, বীর মুক্তিযোদ্ধা নওশের আলী ও সাবেক জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আসাদুজ্জামান আসাদ। এর আগে ২ মার্চ রাজশাহীতে নাইস কনভেনশন সেন্টারে বিএনপির এক সমাবেশ হয়। সেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে মিজানুর রহমান মিনু, মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলসহ অন্যান্য বিএনপি নেতারা অশোভন ও উসকানিমূলক বক্তব্য দেন। এ অভিযোগে জেলা প্রশাসকের কাছে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার আবেদন করেন রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের নেতারা। মামলার বিষয়ে মোসাব্বিরুল ইসলাম বলেন, ২ মার্চ বিএনপির বিভাগীয় সম্মেলনে মিজানুর রহমান মিনু, রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, সাবেক মেয়র বুলবুল ও বিএনপি নেতা মিলন দেশ ও রাষ্ট্রবিরোধী বক্তব্য দিয়ে অস্থিতিশীল অবস্থার সৃষ্টি করতে চেয়েছেন। আমরা এর প্রতিবাদে মিছিল করি। সেই সঙ্গে তাদের ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেই ক্ষমা চাওয়ার জন্য। কিন্তু মিনু ও অন্যান্য নেতারা ক্ষমা না চেয়ে দুঃখ প্রকাশ করে একটি প্রেস বিবৃতি দেন, যা আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। তিনি আরও বলেন, ক্ষমা না চেয়ে উপহাসমূলক প্রেস বিবৃতি দিয়ে তিনি (মিনু) ধূর্ততা করেছেন। রাজশাহী জেলা প্রশাসকের কাছে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আবেদন করা হয়। নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার বলেন, রাষ্ট্র ও আইনবিরোধী বক্তব্যের জন্য তাদের বিরুদ্ধে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বরাবর আবেদন করা হয়েছে। সেখানে আমি এক নম্বর সাক্ষী হিসেবে আছি।
আরও পড়ুন
শুধু সংস্কার ও নির্বাচন প্রশ্নে নয়, বাংলাদেশের ভবিষ্যতের জন্যও প্রয়োজন ঐক্য
আশুলিয়ায় মরদেহ পোড়ানোর মামলায় কনস্টেবল মুকুল কারাগারে
ডেঙ্গুতে এক দিনে মারা গেছেন আরও ৪ জন