অনলাইন ডেস্ক :
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার লস অ্যাঞ্জেলেসে ছোট একটি বিমান উড্ডয়নের পরপরই রেললাইনের ওপর হঠাৎ আছড়ে পড়েছে। এ ঘটনায় পুলিশের তৎপরতায় অল্পের জন্য বেচে যায় পাইলটের জীবন। তবে দূরন্ত গতিতে ছুটে আসা ট্রেনের আঘাতে চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে যায় বিমান। গত রোববার অঙ্গরাজ্যটিতে রোমহর্ষক এই দুর্ঘটনা ঘটে। সংবাদমাধ্যম রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রেনের আঘাতে চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে যাওয়ার কয়েক সেকেন্ড আগে জরুরি অবতরণ করা একটি বিমানের পাইলটকে টেনে বের করে এনেছেন পুলিশের কর্মকর্তারা। পাইলটকে বের করার পরপরই মুহূর্তের মধ্যে ট্রেনের আঘাতে বিমানটি টুকরো টুকরো হয়ে যায়। নাটকীয় এই ঘটনার একটি ভিডিও পেয়েছে রয়টার্স। এতে দেখা যায়, রেললাইনের ওপর বিধ্বস্ত বিমান থেকে পাইলটকে মুক্ত করছেন পুলিশের কয়েকজন কর্মকর্তা। স্থানীয় একটি সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, লস অ্যাঞ্জেলসের প্যাসোইমা থেকে বিমানটি উড্ডয়নের পরপরই সেটি সেসনা রেললাইনে বিধ্বস্ত হয়। ভিডিওতে দেখা যায়, পুলিশ কর্মকর্তারা যখন বিমানের পাইলটের আসনে বসা ব্যক্তিকে টেনে বের করে আনার চেষ্টা করেন, তখন দ্রুতগতিতে ছুটে আসা ট্রেনটি মাত্র অল্প কয়েক ফুট দূরে ছিল। রক্তাক্ত পাইলটকে বের করার সঙ্গে সঙ্গে বিমানটি ট্রেনের আঘাতে ধ্বংস হয়ে যায়। ২১ বছর বয়সী সংগীত সুরকার লুইস জিমেনেজ এই ঘটনার ভিডিও ধারণ করেন। তিনি বলেন, বিমানটির উড্ডয়ন ব্যর্থ হয়েছিল এবং এটি জনপ্রিয় একটি জংশনের রেল ট্রাকে আছড়ে পড়ে। পাইলটকে পুলিশ কর্মকর্তারা রক্ষা করার মাত্র কয়েক সেকেন্ড আগে ট্রেনটি বিমানে আঘাত হানে। বিমানের একটি ধ্বংসাবশেষ আমাকে প্রায় আঘাত করতেছিল। ক্যালিফোর্নিয়ার স্থানীয় একটি গণমাধ্যম বলছে, বিমানের পাইলটকে জখম এবং আঘাতের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে তিনি স্থিতিশীল রয়েছেন তিনি। তবে এই দুর্ঘটনায় ট্রেনের কেউ আহত হননি। লস অ্যাঞ্জেলস পুলিশ বিভাগের টুইট করা একটি ভিডিওতে দেখা যায়, পুলিশ কর্মকর্তারা বিমান থেকে রক্তাক্ত পাইলটকে টেনে নিয়ে যাচ্ছেন। পুলিশ কর্মকর্তাদের সাহসিকতার প্রশংসা করে লস অ্যাঞ্জেলস পুলিশ বিভাগ এক টুইটে বলেছে, তারা রেললাইনে জরুরি অবতরণকারী পাইলটের জীবন বাঁচিয়ে বীরত্ব এবং দ্রুত তৎপরতা দেখিয়েছেন।
আরও পড়ুন
হাসিনার মতো ‘বিশ্বস্ত মিত্র’কে হারানোর ঝুঁকি নেবে না ভারত
উড়োজাহাজ বিধ্বস্তে ৩৮ জনের মৃত্যু, আজারবাইজানে রাষ্ট্রীয় শোক পালন
বিশ্বে ক্ষুধার্ত মানুষ বাড়ছে, কমছে ধনী দেশের সাহায্য