আগামী রোববার (৫ অক্টোবর) থেকে বাংলাদেশ সচিবালয়ে একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিক বা সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক (এসইউপি) সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করা হচ্ছে। পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর এসব পণ্য ব্যবহারে সচেতনতা বাড়াতে এবং সচিবালয়কে অনুসরণীয় উদাহরণ হিসেবে গড়ে তুলতে এই উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
শনিবার (৪ অক্টোবর) সকালে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সচিবালয়ের প্রতিটি প্রবেশপথে কঠোরভাবে তদারকি করা হবে। ভেতরে কেউ পলিথিন বা একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিক নিয়ে প্রবেশ করলে তা জব্দ করে ব্যবহার রোধ করা হবে। নিষিদ্ধ ব্যাগ পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে কাগজ বা পুনঃব্যবহারযোগ্য ব্যাগ সরবরাহ করা হবে। সচেতনতা বাড়াতে প্রবেশপথসহ সচিবালয়ের বিভিন্ন স্থানে তথ্য বোর্ড স্থাপন করা হয়েছে।
পুরো কার্যক্রমটি তদারকিতে একটি মনিটরিং টিম কাজ করছে। এছাড়া মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী, সকল মন্ত্রণালয়কে সচিবালয়ের ভেতরে এসইউপি ব্যবহার বন্ধ করে পুনঃব্যবহারযোগ্য সামগ্রী ব্যবহারে উৎসাহিত করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
সভা-সেমিনারেও প্লাস্টিকের বোতল, কাপ, প্লেট ও চামচ ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তার পরিবর্তে পাটজাত, কাপড়ের বা পুনঃব্যবহারযোগ্য সামগ্রী ব্যবহারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি সরকারি ক্রয়ে প্লাস্টিকের বিকল্প পরিবেশবান্ধব পণ্য অন্তর্ভুক্ত করার দিকনির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।
অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এসইউপি ব্যবহার বন্ধে বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সভা ও সেমিনারে কাগজ বা পরিবেশবান্ধব প্যাকেট ব্যবহারের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি মন্ত্রণালয়ে একজন ফোকাল পারসন নিয়োগ ও মনিটরিং কমিটি গঠন করারও নির্দেশনা রয়েছে।
আগামী ৫ অক্টোবর থেকে সচিবালয়কে সম্পূর্ণভাবে এসইউপি-মুক্ত রাখতে সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করেছে পরিবেশ মন্ত্রণালয়।
এনএনবাংলা/
আরও পড়ুন
সাবেক এমপি ইকবাল ও তার ছেলের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
রোমাঞ্চকর লড়াই শেষে হারের বেদনায় বাংলাদেশ
ঢাকায় ডেঙ্গুতে ৪ মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৭৮১