অনলাইন ডেস্ক :
রোহিঙ্গা ইস্যুকে জিইয়ে রেখে সরকার পশ্চিমা বিশ্বের সহমর্মিতা আদায় করতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। রোববার (২৬ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে চন্দ্রিমা উদ্যানে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের নবগঠিত আংশিক কমিটির নেতাদের নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এ কথা বলেন। জাতিসংঘ সফরে প্রধানমন্ত্রীর কী অর্জন দেখছেন- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, অর্জন তার একটাই, আরও বেশি মিথ্যাচার কীভাবে করা যায়। আপনারা লক্ষ্য করবেন, দেশে গণতন্ত্র নেই। দেশে মানুষের অধিকারগুলো হরণ করা হয়েছে। দেশে নির্বাচন কমিশনকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। নির্বাচন ব্যবস্থার সঙ্গে জড়িত সব প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী কীভাবে এই সমস্যাগুলোর সমাধান করবেন- জাতিসংঘে দেওয়া তার গোটা বক্তব্যের কোথাও তিনি তা উল্লেখ করেননি। বিএনপি মহাসচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে মিথ্যাচার করেছেন। তার বিরুদ্ধে পত্রপত্রিকায় যেসব লেখালেখি হয়েছে তা খ-ানোর জন্য দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সম্পর্কে তিনি অনেকগুলো নেতিবাচক কথা বলেছেন। আমরা তার এই মিথ্যাচারের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। পাশাপাশি আমরা আশা করি দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য সরকারের শুভবুদ্ধির উদয় হবে। আশা করি তারা পদত্যাগ করে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনী সরকার ব্যবস্থার মাধ্যমে ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীনে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করবেন। যাতে সত্যিকার অর্থে একটি জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা হতে পারে। মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা সবসময় প্রত্যাশা করি, গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার জন্য, জনগণের যে অধিকার, ভোটের যে অধিকার, বাকস্বাধীনতার যে অধিকার, বেঁচে থাকবার যে অধিকার তা নিশ্চিত করবার জন্য তাদের শুভবুদ্ধির উদয় হবে। সংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে ফখরুল বলেন, আমি কোনো আউটপুট পাইনি (প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে)। এমনকি রোহিঙ্গাদের যে সমস্যা, সে সমস্যারও কোনো সমাধান তিনি নিয়ে আসতে পারেননি। আমরা যেটা মনে করি, এখানে সবচেয়ে বড় যে প্রবলেম দাঁড়িয়েছে, রোহিঙ্গা ইস্যুকে নিয়ে এখন পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী বলুন বা সরকার বলুন তারা কোনো ইতিবাচক ভূমিকা পালন করেনি। এটা জিইয়ে রেখে পশ্চিমাদের সহানুভূতি আদাযয়ের চেষ্টা করছে। যারা স্টেকহোল্ডার আছে, যেমন স্পেন-ভারত তাদের কাছে এখন পর্যন্ত যেতে পারেনি। এই সমস্যা সমাধানের কোনো পথ তারা বের করতে পারেনি। মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের যে লক্ষ্য এই বর্তমানে ফ্যাসিস্ট দানবীয় সরকার, নির্বাচন না করেই যারা ক্ষমতা দখল করে আছে, তাদের সরিয়ে দেওয়া। জনগণের মধ্যে একটা আন্দোলন এবং একই সঙ্গে একটা গণঅভ্যুত্থানের জন্য আমরা কাজ করবো। ইনশাআল্লাহ এই নবগঠিত নেতৃত্বের মাধ্যমে আমরা এটা করতে সক্ষম হবো। এসময় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, কৃষকদলের সভাপতি কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন, সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবুল, সিনিয়র সহ-সভাপতি হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু, সহ- সভাপতি অ্যাডভোকেট গৌতম চক্রবর্তী, যুগ্ম সম্পাদক প্রকৌশলী টিএস আইয়ুব, যুগ্ম সম্পাদক মোশারফ হোসেন এমপি ও দপ্তর সম্পাদক মো. শফিকুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন
শুধু সংস্কার ও নির্বাচন প্রশ্নে নয়, বাংলাদেশের ভবিষ্যতের জন্যও প্রয়োজন ঐক্য
দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সতর্কতামূলক ব্যবস্থা দুর্যোগের ক্ষতি থেকে বাঁচার সহায়ক
শেখ হাসিনা ও তার দোসরদের নথি চাওয়ার পর সচিবালয়ে আগুন