নিজস্ব প্রতিবেদক :
লকডাউনে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় কর্মীদের আনা-নেওয়ার নির্দেশনা থাকলেও তা মানেনি অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান। কর্মীদের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় অফিসে যাতায়াত করতে দেখা গেছে। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় এসব কর্মজীবী মানুষকে পড়তে হয়েছে বিপাকে। এ অবস্থায় গতকাল সোমবার সকালে অধিকাংশ মানুষকে হেঁটে, রিকশা কিংবা ভ্যানে করে গন্তব্যে পৌঁছতে দেখা গেছে। সকাল থেকে নগরীর খিলগাঁও রেলগেট, বাসাবো, মানিকনগর, সায়েদাবাদ, কমলাপুর, ফকিরাপুল, রাজারবাগ, মলিবাগ, মগবাজার, বাংলামটরসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। এসব এলাকায় কোনও স্টাফ বাস দেখা যায়নি। কর্মজীবী মানুষের ভিড়ে সড়কজুড়ে তীব্র যানজট দেখা গেছে। রিকশা ও ভ্যান খালি না পেয়ে অধিকাংশ মানুষকে হেঁটে অফিসে যেতে দেখা গেছে। দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের চাকরি করেন আসমা আক্তার। প্রতিদিন তিনি বাস কিংবা লেগুনা যোগেই অফিসে যান। কিন্তু গতকাল সোমবার সকালে অফিসে যাওয়ার জন্য বাসা থেকে বের হয়ে কোনও যানবাহন পাননি, রিকশাও পাচ্ছেন না। বাধ্য হয়েই হেঁটে অফিসে যাত্রা দেন। জানতে চাইলে তিনি বলেন, সব লকডাউনে সরকারের শর্ত কাগজেই থাকে। আমাদের উপর বাস্তবায়ন হয় না। কষ্ট আমাদেরই করতে হয়। যাতায়াতে যে পরিমাণ ভাড়া ব্যয় হয়- তাতেই বেতনের বড় অংশ চলে যায়। রাজধানীর মানিকনগর এলাকাতেও চিত্র কিছুটা একইরকম। এই এলাকা ঘুরে দেখা যায়, এখান থেকে দল দলে মতিঝিলসহ বিভিন্ন অফিস পাড়ায় যাচ্ছেন কর্মজীবী মানুষ। গণপরিবহন না থাকায় হেঁটে কিংবা রিকশায় অফিসে যেতে হচ্ছে তাদের। আর এতে গুনতে হচ্ছে কয়েকগুণ বেশি ভাড়া। সামছুল ইসলাম নামে বেসরকারি একটি ব্যাংক কর্মকর্তা বলেন, সরকার তো বলেছে প্রতিষ্ঠানগুলো আমাদের জন্য যাতায়াত ব্যবস্থা করবে। কিন্তু কোনও ব্যবস্থাই নেই। রিকশাও পাওয়া যাচ্ছে না। ৫০ টাকার ভাড়া যাচ্ছে ১০০ টাকা। এখন বাধ্য হয়েই হাঁটা দিয়েছি।
আরও পড়ুন
সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের কারণ উদঘাটনে তদন্ত কমিটি
আশুলিয়ায় মরদেহ পোড়ানোর মামলায় কনস্টেবল মুকুল কারাগারে
অগ্নিকান্ডে মিঠাপুকুরের নয়ন একমাত্র উপার্জনকারীর মৃত্যুতে দিশেহারা পরিবার