অনলাইন ডেস্ক :
লকডাউন (বিধিনিষেধ) বিবেচনায় এক মাসের বাড়ি ও দোকান ভাড়া মওকুফের দাবি জানিয়েছে ভাড়াটিয়া পরিষদ। এ ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা। বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) দুপুরে সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানানো হয়। ভাড়াটিয়া পরিষদের সভাপতি মো. বাহারানে সুলতান বাহার বলেন, লকডাউনের ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেশের নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। কর্ম হারিয়ে তারা আজ দিশেহারা। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধি সাধারণ ভাড়াটিয়াদের কষ্ট-দুর্দশা আরও বাড়িয়েছে। এ অবস্থাতেও অনেক বাড়িওয়ালা ভাড়া বাড়িয়েছেন। অনেকে আবার ভাড়াটিয়াকে জোরপূর্বক উচ্ছেদ করেছেন। কর্মহীন থাকায় বাড়ি ভাড়া, দোকান ভাড়া পরিশোধ তাদের সামনে এক বিরাট চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিয়েছে। অসহায় দরিদ্র এ সকল ভাড়াটিয়ার এক মাসের ভাড়া মওকুফে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি। বিজ্ঞপ্তিতে তিনি বলেন, ঢাকা শহরের প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষ ভাড়া থাকেন। চলমান লকাডাউন ও ঈদের কারণে তাদের সিংহভাগ মানুষ ঢাকা ছেড়েছেন। এখনো অনেকে ছাড়ছেন। ঈদ শেষে ঢাকায় ফিরতে পারবেন কিনা তা অনিশ্চিত। আর ঢাকায় ফিরলেও কর্মে ফিরতে পারবেন কিনা তা নিশ্চিত নয়। সরকার মহামারির প্রকোপ কমাতে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মহলের জন্য বিশেষ প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। কিন্তু অসহায় ভাড়াটিয়াদের দুর্ভোগ লাঘবে এ পর্যন্ত কোনো ধরনের প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়নি। আমরা ভাড়াটিয়া ও বাড়িওয়ালাদের উভয়ের সুবিধা-অসুবিধা বিবেচনায় নিয়ে একটি বিশেষ প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণার জন্য সরকারের কাছে অনুরোধ করছি। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কমাতে সরকার গত ১ জুলাই থেকে ১৪ জুলাই পর্যন্ত সারাদেশে কঠোর বিধিনিষেধ বাস্তবায়ন করে। এরপর ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে চলমান বিধিনিষেধ শিথিল করে মঙ্গলবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। একই সঙ্গে ঈদের পর ২৩ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত সারাদেশে ফের কঠোর বিধিনিষেধ ঘোষণা করা হয়।
আরও পড়ুন
আগামী বিজয় দিবস গণহত্যাকারীর শাস্তির রায়ে উদ্যাপন হবে: আসিফ নজরুল
কাল থেকে ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের কাজ শুরু: উপদেষ্টা
সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের কারণ উদঘাটনে তদন্ত কমিটি