August 25, 2025

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Sunday, August 24th, 2025, 6:01 pm

লাগামহীন বক্তব্য, ফজলুর রহমানকে বিএনপির শোকজ

 

প্রতিনিয়ত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এবং ইসলামপন্থীদের নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করে সমালোচনার মুখে থাকা চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দিয়েছে বিএনপি।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্রদের কটাক্ষ করে বক্তব্য দেওয়ার পর তীব্র সমালোচনা শুরু হলে রোববার (২৪ আগস্ট) বিকেলে তাকে শোকজ করা হয় বলে বিএনপির প্রেস উইং সূত্র নিশ্চিত করেছে।

নোটিশে যথাযথ কারণ দর্শিয়ে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে লিখিত জবাব দেওয়ার জন্য বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।

আওয়ামী লীগ থেকে বিএনপিতে আসা অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকেই নানা বিতর্কিত বক্তব্য দিচ্ছেন। সবশেষ তিনি ৫ আগস্টে শেখ হাসিনার পতনের জন্য বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও তাদের সহযোগী সংগঠনগুলোকেই দায়ী করেছেন। তার ভাষায়— এটি কোনো সাধারণ রাজনৈতিক ঘটনা নয়, বরং একটি সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র, যার মূল পরিকল্পনাকারী ‘কালো শক্তি’ জামায়াত।

সম্প্রতি একটি টেলিভিশন টকশোতে অংশ নিয়ে ফজলুর রহমান বলেন, ৫ আগস্টের আন্দোলন পরিচালনায় সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির। তিনি দাবি করেন, এই সংগঠন দীর্ঘদিন ধরে দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নষ্ট করার জন্য ষড়যন্ত্র করে আসছে।

তার ভাষায়, যারা ৫ আগস্টের ঘটনার জন্য দায়ী, তারা কোনো রাজনৈতিক নেতা নয়, তারা কেবল অভিনেতা। দেশের মানুষ এখন বুঝে ফেলেছে, এরা রাজাকারের বংশধর। তারা অর্থ-বিত্ত দিয়ে তরুণ সমাজকে প্রলুব্ধ করছে।

বিএনপির এই নেতা বলেন, আমরা ভেবেছিলাম, ৫৪ বছর পেরিয়ে গেছে। জামায়াত ও তাদের সহযোদ্ধারা মুক্তিযুদ্ধের গ্লানি হয়তো ভুলে গেছে। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। বরং তারা এখন আরও শক্ত হয়ে ফিরে এসেছে, এবং নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টায় আছে।

তিনি অভিযোগ করেন, জামায়াতের সাংগঠনিক শক্তি, অর্থ-বিত্ত এবং আন্তর্জাতিক সংযোগ আজ এতটাই বিস্তৃত হয়েছে যে, তারা দেশের প্রশাসনেও প্রভাব বিস্তার করছে। ‘তার ভাষায়, এখন এসিল্যান্ড থেকে ইউএনও, ওসি থেকে এসপি, ডিসি থেকে সচিব—সবখানে তাদের ছায়া পড়েছে। এমনকি ব্যাংক, শেয়ারবাজার, হাসপাতাল, বিশ্ববিদ্যালয় ও ছাত্রসংগঠন—সবখানেই তারা সক্রিয়।

ভোটের রাজনীতিতে জামায়াতের জনভিত্তি উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাদের জনপ্রিয়তা একসময় ৭ শতাংশ ছিল, এখন আরও কমে গেছে। তাই আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমতায় আসার কোনো সুযোগ নেই। তবে তারা নিজেদের ছায়া-ক্ষমতাধর মনে করছে।

এনএনবাংলা/