বাংলাদেশের ‘লালন সম্রাজ্ঞী’ খ্যাত সঙ্গীতশিল্পী ফরিদা পারভীন (৭০) আর নেই। আজ শনিবার রাত ১০টা ১৫ মিনিটের দিকে রাজধানীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউ বিভাগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
ফরিদা পারভীনের ছেলে ইমাম জাফর নোমানী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তাঁর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন।
জাফর নোমানী বলেন, ‘আম্মা (ফরিদা পারভীন) আজ (শনিবার) রাত ১০টা ১৫ মিনিটে ঢাকায় ইন্তেকাল করেছেন। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আম্মার সব ভুল-ত্রুটি অপরাধকে মার্জনা করে আম্মাকে জান্নাতুল ফেরদৌস দান করুন।’
ফরিদা পারভীন দীর্ঘদিন ধরে কিডনি জটিলতায় ভুগছিলেন। তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকায় সপ্তাহে দুই দিন ডায়ালিসিস করাতে হতো। গত ২ সেপ্টেম্বর নিয়মিত ডায়ালিসিসের জন্য তাকে মহাখালীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।
তবে সর্বশেষ ডায়ালিসিসের পর ফরিদা পারভীনের শারীরিক অবস্থার গুরুতর অবনতি ঘটে, যার জেরে চিকিৎসকদের পরামর্শে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং আইসিইউতে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়।
গত বুধবার তার অবস্থা আরও সংকটপূর্ণ হয়ে উঠলে তাকে লাইফ সাপোর্ট বা ভেন্টিলেটরে নেওয়া হয়। সেখানে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।
১৯৫৪ সালে নাটোরে জন্মগ্রহণ করেন ফরিদা পারভীন। শৈশবেই সংগীত শিক্ষার হাতেখড়ি। পরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার পাশাপাশি তিনি সংগীতচর্চায় যুক্ত হন। ১৯৭৩ সালে রাজশাহী বেতারে নজরুল সঙ্গীতের মাধ্যমে তার আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। পরবর্তীতে লালনের গান দিয়েই তিনি সবার হৃদয়ে জায়গা করে নেন।
কণ্ঠশিল্পী হিসেবে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ফরিদা পারভীন পেয়েছেন একুশে পদক, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ বহু সম্মাননা।
ফরিদা পারভীন বাংলাদেশের লোকসংগীতের এক অমর ধারা ও প্রাণবন্ত উপস্থাপনার জন্য চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন। তার মৃত্যু দেশের সাংস্কৃতিক জগতে এক অপূরণীয় ক্ষতি বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
এনএনবাংলা/
আরও পড়ুন
জাকসুর ভিপি স্বতন্ত্র প্রার্থী জিতু, জিএস শিবির সমর্থিত মাজহার
আ.লীগ নিষিদ্ধ হলেও তাদের ভোটাধিকার নিষিদ্ধ না: ফাওজুল কবির
যুগপৎ কর্মসূচিতে যাচ্ছে জামায়াত-এনসিপিসহ আট দল