অনলাইন ডেস্ক :
ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে জমজমাট এক লড়াই উপহার দিয়েছে খেলাঘর সমাজ কল্যাণ সমিতি। কিন্তু ভাগ্য সহায় না হওয়ায় ব্রাদার্সের কাছে হারতে হয়েছে মাত্র ১৩ রানে। বিকেএসপির চার নম্বর মাঠে শুরুতে ব্যাট করা ব্রাদার্স ৫ উইকেটে হারিয়ে পেয়েছে ৩০৬ রানের বিশাল সংগ্রহ। অবশ্য এই স্কোর দেখেও বোঝার উপায় নেই এই দলটি ১০৬ রানে হারিয়েছিল ৪ উইকেট! তার পর মূলত আমিনুল ইসলাম বিপ্লব ও ধীমান ঘোষের দুর্দান্ত জুটি বড় স্কোরের ভিত গড়ে দিয়েছে। পঞ্চম উইকেটে তারা যোগ করেন ১৪০ রান। ৮৮ রান করা বিপ্লব যখন আউট হন, তখন দলের স্কোর ৪৭ ওভারে ২৪৬ রান। অল্পের জন্য সেঞ্চুরি বঞ্চিত হওয়া বিপ্লবের ইনিংসে ছিল ৩টি চার ও ৫টি ছয়। দ্রুত গতিতে ব্যাট চালানো তার ইনিংসটিতে ব্যয় হয়েছে ৭৫ বল। অপরপ্রান্তে থাকা ধীমান ঘোষ অবশ্য আউট না হলেও অপরাজিত থেকেছেন ৮৯ রানে। তার ৭৪ বলের ইনিংসে ছিল ৬টি চার ও ৪টি ছয়। শেষ দিকে চতুরঙ্গ ডি সিলভা ১০ বলে ৩০ রানের মিনি ঝড় তুলে অবদান রেখেছেন। খেলাঘরের মোহাম্মদ হোসেন আলী নিয়েছেন ২টি উইকেট। একটি করে নেন টিপু সুলতান, মাসুম খান টুটুল ও ইফতেখার সাজ্জাদ। বড় লক্ষ্যের বিপরীতে খেলতে নামা খেলাঘরের শুরুটাও ভালো ছিল না। ৭৫ রানে পড়েছে ৪ উইকেট। দলটি যে শেষ পর্যন্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঝাঁজ তুলবে তা কে ভেবেছিল? শুরুর ধাক্কা সামাল দেওয়া গেছে প্রীতম কুমার ও অমিত হাসানের জুটিবদ্ধ ইনিংসে। অমিত ৪৬ রানে ফিরলে দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন প্রীতম। এবার মোহাম্মদ ইলিয়াসের সঙ্গে জুটি গড়েন তিনি। ষষ্ঠ উইকেটে দুজনে যোগ করেন ৫৭ রান। প্রীতম শেষ পর্যন্ত ৭২ রানে আউট হয়েছেন। তবে লড়াই অব্যাহত রাখেন ইলিয়াস। ৬২ রান করা এই ব্যাটার দলীয় ২৮৯ রানে ফিরতেই শেষ হয়ে যায় সব সম্ভাবনা। খেলাঘর ৪৯.২ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে করতে পারে ২৯৩ রান। ব্রাদার্সের হেয়ে ৫৩ রানে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নিয়েছেন সাকলাইন সজীব। একটি করে উইকেট নিয়েছেন আবু হায়দার রনি, চতুরঙ্গ ডি সিলভা, সোহাগ গাজী, আমিনুল ইসলাম বিপ্লব ও মোহাম্মদ আশরাফুল।
আরও পড়ুন
খুলনা হারলেই কেটে যাবে সমীকরণের সব জটিলতা
রংপুরের বিপক্ষে টস জিতে বোলিংয়ে চিটাগং
উইন্ডিজের কাছে বড় হার বাংলাদেশের মেয়েদের