দৃকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শহিদুল আলম আগেই জানিয়েছিলেন, গাজা উপত্যকায় তাদের জাহাজ ফ্রিডম ফ্লোটিলা পৌঁছাতে দেরি হবে।
ইসরায়েলি সেনাদের একের পর এক ফ্লোটিলা জব্দে উদ্বিগ্ন তাঁর শুভাকাঙ্খীরা বারবার প্রশ্ন করছেন— এই মুহূর্তে ঠিক তিনি কোথায় আছেন এবং গাজায় পৌঁছাতে আর কত সময় লাগবে।
আজ রোববার দুপুর ১টার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়ে তিনি এসব প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন ।
শহিদুল আলম লিখেছেন, সবচেয়ে ভালো উপায়, ট্র্যাকার ব্যবহার করে আমাদের যাত্রাপথ অনুসরণ করা। ‘ফরেনসিক আর্কিটেকচার’, যার সঙ্গে আমরা আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ডের ওপর একটি তদন্তমূলক ফিল্ম তৈরিতে সহযোগিতা করেছিলাম— এ ই সাইটের মাধ্যমে কনশানস ও থাউজেন্ড ম্যাডলিনস উভয় নৌবহরের যাত্রাপথ ট্র্যাক করছে।
তিনি জানিয়েছেন, ঠিক কত সময় লাগবে, এর উত্তর নির্ভর করছে আইডিএফ (ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী) আমাদের ওপর কীভাবে প্রতিক্রিয়া দেখায়, সেটার ওপর। অতীতের ঘটনাগুলো দেখলে বোঝা যায় যে, তারা আমাদের যেতে দেবে না। আটক করা হতে পারে। এরপর আমাদের ফেরত পাঠানো হতে পারে, নয়তো কারাগারে পাঠানো হতে পারে। কখন, কোথায় এটা ঘটতে পারে, তা আগে থেকে বোঝা অসম্ভব। এটা আমাদের হাতে নেই।
শহিদুল আলম পোস্টে আরও লেখেন, যদি আপনারা এমন পদক্ষেপ নিতে পারেন; যা আমাদের গাজায় পৌঁছানোর জন্য চাপ তৈরি করে, তবে সেটা হবে সর্বোত্তম ফলাফল। একমাত্র উপায় হলো, ইসরায়েলের ওপর সাধারণ মানুষের পর্যাপ্ত চাপপ্রয়োগ। কাজেই, এবার আপনাদের সুযোগ, পদক্ষেপ নিন। এক হোন, প্রতিরোধ করুন। এটা অধিকার আর ন্যায়বিচারের জন্য একটি প্রচার। আমাদের একসঙ্গে এটা করতে হবে।
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছ থেকে আজ সকালে শুভেচ্ছা বার্তা পাওয়ার কথাও ফেসবুক পোস্টে উল্লেখ করেছেন শহিদুল আলম।
শহিদুল আলম গাজা অভিমুখে থাকা কনশানস নৌযানে আছেন। আর কনশানস হলো আন্তর্জাতিক উদ্যোগ ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন (এফএফসি) এবং থাউজেন্ড ম্যাডলিনস টু গাজা (টিএমটিজি) নৌবহরের একটি জাহাজ। এফএফসি হলো ইসরায়েলের অবরোধ ভাঙতে ও গাজায় ত্রাণ পৌঁছাতে বৈশ্বিক প্রচেষ্টা ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার’ যৌথ আয়োজক জোটগুলোর একটি।
এনএনবাংলা/
আরও পড়ুন
২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আরও ৩ জনের মৃত্যু, নতুন ভর্তি ৭০০ জন
সাবেক মন্ত্রী বীর বাহাদুরের ১৩ কোটি টাকার স্থাবর সম্পদ জব্দ
স্ত্রী ও ছেলেসহ সাবেক মন্ত্রী রুহুল হকের ৫৬টি ব্যাংক হিসাব জব্দ