সিলেট অফিস:
শহীদ বুদ্ধিজীবি দিবস উপলক্ষে সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপির উদ্যোগে শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে চৌহাট্টাস্থ বুদ্ধিজীবি স্মৃতি সৌধে পুস্পস্থক অর্পণ করা হয়। বিকেলে সিলেট কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের শহীদ সুলেমান হল রুমে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে সিলেট মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সাবেক প্যানেল মেয়র রেজাউল হাসান কয়েস লোদী বলেন, গণতন্ত্র হত্যা ও গণহত্যা করে আওয়ামী লীগ জনবিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। বাংলাদেশের মানুষ ১৯৭১ সালে যে কারণে যুদ্ধ করেছিলো একটা স্বাধীন, গণতান্ত্রিক ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য। বাংলার রাখাল রাজা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণার মধ্য দিয়ে আমরা পেয়েছিলাম একটি স্বাধীন রাষ্ট্র।
তিনি আরোও বলেন, ২০২৪ সালে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে ছাত্র-জনতা ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট শক্তিকে পরাজিত করে ১৭ বছর পর ফ্যাসিসবাদ মুক্ত হয়েছে দেশ। আমরা ঐক্যবদ্ধ ভাবে বাংলাদেশকে একটি সত্যিকার অর্থেই গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র, আধুনিক রাষ্ট্র ও একটি বৈষম্যহীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চাই। ১৯৭১ সালের এই দিনে বিজয়ের পূর্ব মুহূর্তে পাক-হানাদার বাহিনী বাংলাদেশের প্রথিতযশা সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী, অধ্যাপক, বৈজ্ঞানিক এবং সুশীল সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের তুলে নিয়ে গিয়ে হত্যা করে। ১৯৭১ সালে আমরা জাতির বর্ণ ব্যক্তিদের হারিয়েছি। আমরা জাতীয়তাবাদী দলের পক্ষ থেকে জাতির সূর্য সন্তানদের শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করি ও তাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করছি।
সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী ও মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নজিবুর রহমান নজিবের যৌথ পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন সিলেটের পাবলিক প্রসিকিউটর (পি.পি) এডভোকেট মো. আশিক উদ্দিন, সিলেট মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি ও সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ডীন ডা. নাজমুল ইসলাম, সিলেট জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি জিয়াউল গণি আরেফিন জিল্লুর, সহ-সভাপতি সাদিকুর রহমান সাদিক, ডা. আশরাফ আলী, মহানগর বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মির্জা বেলায়েত হাসান লিটন, জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান পাপলু, মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ সাফেক মাহবুব, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম আহমদ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আব্দুল আহাদ খান জামাল, মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জাকির হোসেন মজুমদার, রফিকুল ইসলাম রফিক, জেলা বিএনপির প্রচার সম্পাদক লোকমান আহমদ, মহানগর বিএনপির প্রচার সম্পাদক বেলায়েত হোসেন মোহন, প্রকাশনা সম্পাদক দেওয়ান আরাফাত জাকি, যোগাযোগ বিষয়ক সম্পাদক ফয়েজ আহমদ মুরাদ, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান, মহানগর বিএনপি তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ লোকমানুজ্জামান, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মুফতি রায়হান উদ্দিন মুন্না, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ছাব্বির আহমদ, জেলা বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক অর্জুন ঘোষ, শফিক নুর, মহানগর বিএনপির সহ অর্থ সম্পাদক আলমগীর হোসেন, সহ দপ্তর সম্পাদক আব্দুল মালেক, মহানগর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বি আহসান, মহানগর বিএনপির সহ অর্থনীতি বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন রানা, সহ পাঠাগার সম্পাদক সৈয়দ রাজন, জেলা বিএনপির সহ মৎস্য সম্পাদক ইসলাম উদ্দিন, জেলা বিএনপির সদস্য আব্দুল্লাহ আল মামুন সামুন, মহানগর বিএনপির সদস্য ইফতেখার আহমদ পাবেল, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল হাশিম জাকারিয়া, আব্দুস সালাম টিপু, আব্দুল মুনতাসের চৌধুরী সাব্বিহ, এনামুল আজিজ মুন্না, আফতাব উদ্দিন, নজরুল ইসলাম, কবির আহমদ নুনু, সালাউদ্দিন আহমদ, আক্তার জয়, সুমন আহমদ, রুবেল আহমদ, মনির আহমদ প্রমুখ।
আরও পড়ুন
সাংবাদিকদের সাথে রংপুর পুলিশ সুপারের মতবিনিময়
আশুলিয়ায় মরদেহ পোড়ানোর মামলায় কনস্টেবল মুকুল কারাগারে
শীতে শিশুদের সুস্থ রাখবে যেসব খাবার