কালীগঞ্জ (গাজীপুর):
১৪ ডিসেম্বর ‘‘শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস” উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে কালীগঞ্জে শহীদদের স্মরণে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়েছে। পরে তাদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনায় আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
দিবসটি উপলক্ষে (১৪ ডিসেম্বর) রোববার সকালে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে শহীদ মিনারে উপজেলা প্রশাসন পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে উপজেলা সম্মেলন কক্ষে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মরণে বিশেষ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সহকারী কমিশনার (ভূমি) জাকিয়া সরওয়ার লিমার সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ.টি.এম কামরুল ইসলাম।
এসময় অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ রেজওয়ানা রশিদ, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোসাম্মদ নাহিদা খাতুন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফারজানা তাসলিম, উপজেলা প্রকৌশলী মো. রেজাউল হক, কালীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক মো. আব্দুল কুদ্দুস, সমাজসেবা কর্মকর্তা আফরোজা বেগম, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আশরাফুল হোসেন, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার নুর-ই-জান্নাত, জনস্বাস্থ্য প্রকৌলশী আবুল হোসেন আকাশ, বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ, এলাকার সুশিল সমাজের প্রতিনিধি, প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তর প্রধানগণ ও সাংবাদিকসহ প্রমুখ। পরে শহীদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া করা হয়।
একাত্তরের ২৫ মার্চ কালরাত থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধের পুরোটা সময়জুড়ে বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে পাকিস্তানী বাহিনী। ডিসেম্বরের মধ্যভাগে মুক্তিযুদ্ধের বিজয় যখন নিশ্চিত ঠিক তখনই পাকিস্তানি বাহিনী হত্যা করে বাংলাদেশের প্রথিতযশা বুদ্ধিজীবীদের। উদ্দেশ্য ছিল দেশকে মেধাশুণ্য ও পঙ্গু করে দেওয়া। ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী পরিকল্পিতভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক,চিকিৎসক,শিল্পী,লেখক,সাংবাদিকসহ বহু খ্যাতিমান বাঙালিকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে হত্যা করে। স্বাধীনতার পর থেকে প্রতিবছর ১৪ ডিসেম্বর পালন করা হয় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস।

আরও পড়ুন
বেগম খালেদার জিয়ার সুস্থতা কামনায় শাহজাহানপুরে মসজিদে মসজিদে দোয়া মাহফিল
হাদীকে হত্যাচেষ্টার প্রতিবাদে কমলগঞ্জে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ
১৪ ডিসেম্বর জয়পুরহাট হানাদার মুক্ত দিবস