ঢাকার দোহার উপজেলার শাইনপুকুরে অবস্থিত সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের দৃষ্টিনন্দন তিনতলা বাড়িটি এখন পরিত্যক্ত নীরবতার প্রতীক। একসময় লোকসমাগমে মুখরিত এই বাড়িটি আবারও আলোচনায় এসেছে তার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশ ঘোষণার পর।
মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর ও দোহার উপজেলার সীমানায় ঢাকা–দোহার–শ্রীনগর হাইওয়ে সংলগ্ন এই বাড়িটি দীর্ঘদিন ধরেই অরক্ষিত অবস্থায় ছিল। ৫ আগস্টের অভ্যুত্থানের পর সারাদেশে এমপি–মন্ত্রীদের বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটলেও শাইনপুকুরের এই বাড়িটিতে ছিল না কোনো সুরক্ষাব্যবস্থা।
সম্প্রতি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়ে আসাদুজ্জামান খান কামালের মৃত্যুদণ্ডাদেশ এবং দেশে থাকা তার সব সম্পত্তি রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণের নির্দেশের পর বাড়িটির প্রধান গেটে তালা ঝুলানো দেখা গেছে। ফটকের নেমপ্লেটও সরিয়ে ফেলা হয়েছে। পুরো বাড়িজুড়ে নেই কোনো সিসিটিভি কিংবা লোকজনের উপস্থিতি—চারপাশে শুধু নির্জন নীরবতা।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, অভ্যুত্থানের পর কিছুদিন আসাদুজ্জামানের ছোট ভাই খোকন মিয়া মাঝে মাঝে বাড়িতে আসতেন। তবে গত এক মাসে এখানে কাউকে দেখা যায়নি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালীন আসাদুজ্জামান খান কামাল প্রায় প্রতি শুক্রবারই শাইনপুকুরের এই বাড়িতে সময় কাটাতেন। দিনভর বিশ্রাম নেওয়ার পর সন্ধ্যায় তিনি আবার ঢাকায় ফিরতেন। পরপর দুই মেয়াদে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করা এই সাবেক সাংসদের সেই ব্যস্ততা আর কোলাহলের কোনো চিহ্ন আজ আর নেই তার গ্রামীণ বাড়িতে—শুধুই জনশূন্যতা আর গভীর নীরবতা।
এনএনবাংলা/

আরও পড়ুন
রাজধানীর গুলিস্তানে রমনা ভবনে আগুন
কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সামনে গাড়িতে আগুন
তারেক রহমানের জন্মদিনে উৎসব না করার নির্দেশ